× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর স্বচ্ছলদের কবজায়, বিক্রি হচ্ছে লাখ টাকায়

রামগতি-কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৩৫ পিএম

প্রবা ফটো

প্রবা ফটো

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোর বেশিরভাগই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে স্বচ্ছল ব্যক্তিদের। ঘর বরাদ্দ পাওয়া সুবিধাভোগীরা নিজের জমি ও বাড়ি থাকায় সেখানে বসবাস না করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করছেন। প্রতিটি ঘর ৬০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার কেউ ভাড়া দিয়ে রাখছেন অন্য পরিবারের কাছে। কিছু ঘর বিক্রি হয়েছে একাধিকবার।

সম্প্রতি উপজেলার চর কাদিরা ও হাজিরহাট ইউনিয়নের কয়েকটি আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘুরে বসবাসকারীদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। একই চিত্র অন্যান্য ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পেও।

উপজেলা প্রকল্প অফিস ও ভূমি অফিসের কর্তাদের ম্যানেজ করেই এমন বেচা-কেনার মহোৎসব চলছে বলে জানিয়েছেন তারা। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও তাদের।

উপজেলা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫টি ধাপে চর কাদিরা, হাজিরহাট, চর লরেন্স, তোরাবগঞ্জ, কালকিনি ও চর মার্টিন ইউনিয়নে ৮২০টি ঘর নির্মাণ করে উপজেলা প্রশাসন। নির্মাণ কাজের মধ্যেই ঘর বরাদ্দের জন্য ভূমি ও গৃহহীনদের আবেদন নেওয়া হয়। আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে ধাপে ধাপে তাদের মাঝে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়।

চর ঠিকা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর ক্রয় করে বসবাসকারীরা জানান, ২৪৮ নম্বর ঘরটিতে মাইমুনা বেগম বসবাস করছেন, তিনি শিরিন বেগমের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকায় কিনেছেন। ১৯৪ নম্বর ঘরটি ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে আবদুল মান্নানের থেকে হান্নান কিনেছেন।

১৭৭ নম্বর ঘরটি ফাতেমার নামে থাকলেও ক্রয় করে বসবাস করেন তার আত্মীয়। ১৭৫ নম্বর ঘরটি সেলিম স্বর্ণকারের কিন্তু ক্রয় করে তার ভাতিজা আনোয়ার বসবাস করছেন।

১৭৪ নম্বর ঘরটি কুলসুম-মাকসুদ দম্পতি বিক্রি করেছেন বসবাসকারী ইসমাইলের কাছে। ১৭১ নম্বর ঘরটি ৭৫ হাজার টাকায় ক্রয় করে বসবাস করেন নুরে আলম। ৩১৫ নম্বর ঘরটি রহিমা বেগমের নামে বরাদ্দ হলেও ঘরটি কিনে পরিবার নিয়ে থাকেন মনির হোসেন। এছাড়াও ৩১৭ নম্বর ঘরটিতে মাসে আটশত টাকায় ভাড়া থাকেন লিংকন দম্পতি।

চর ঠিকা আশ্রয়ণ প্রকল্পের সভাপতি আবুল খায়েরের সহধর্মিণী সুমি বেগম বলেন, ৫৫টি ঘরের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ঘরই বিক্রি হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা পরিতোষ মণ্ডল বলেন, ‘আশ্রয়ণের ঘরগুলো নির্মাণের দায়িত্ব আমাদের। কিন্তু কে পাবে, কে পাবেনা, গৃহহীন ও ভূমিহীন কারা- সেগুলা যাচাই-বাছাই করার দায়িত্ব এসিল্যান্ড ও ইউএনও স্যারের। ওনারাই এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।’

উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আবদুল্লাহ আল মামুন ঘর বিক্রি হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘ভূমিহীন ও গৃহহীন যাচাই-বাছাই করার জন্য ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দের টাস্কফোর্স’ নামে একটি কমিটি ছিল। ওই কমিটির সভাপতি ছিলেন ইউএনও স্যার ও সদস্য সচিব ছিলেন এসিল্যান্ড স্যার। ওনাদের দেওয়া তালিকা অনুয়ায়ী আমরা ভূমি ও ঘর বন্দোবস্ত নথি রুজু করে ইউএনও স্যারের কাছে প্রেরণ করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সব ইউনিয়নেই এসব ঘরের একই অবস্থা। এগুলা নিয়ে এখন কেউ আর মাথা ঘামায়না।’

কমলনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঝন্টু বিকাশ চাকমা বলেন, ‘এ বিষয়ে তথ্যগুলো আমার নলেজে নাই। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাহাত উজ জামান বলেন, ‘আমি নতুন যোগদান করেছি। এ বিষয়ে তথ্যগুলো এসিল্যান্ড আফিস থেকে নিব। কিভাবে, কারা পেয়েছে এসিল্যান্ড অফিস থেকে জানব।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা