মধ্যাঞ্চলীয় অফিস
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:২৯ পিএম
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:২৪ পিএম
দুর্ঘটনার পর কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থী ও উত্তেজিত জনতা। প্রবা ফটো
কিশোরগঞ্জে স্কুলে যাওয়ার পথে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আলী আকবর, জুনায়েদ ও নোহা আক্তার নামে শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থী ও উত্তেজিত জনতা। এতে সড়কের উভয় পাশে আটকা পড়ে কয়েকশ যানবাহন। চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীসহ পথচারীরা।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে স্কুলে যাওয়ার সময় কটিয়াদী উপজেলার আচমিতা ইউনিয়নের ছনকান্দা এলাকায় ও দুপুরে হোসেনপুর উপজেলার দক্ষিণ গোবিন্দপুর চৌরাস্তা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তিন শিক্ষার্থী হলেন, কটিয়াদী উপজেলার মধ্যপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আলী আকবর (১৩) ও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র মো. জুনায়েদ (১২)। তাদের মধ্যে আলী আকবর মধ্যপাড়া গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে ও জুনায়েদ একই গ্রামের ফেরদৌস মিয়ার ছেলে। তারা দুইজনেই চাচাতো ভাই। নিহত অপর শিক্ষার্থী নোহা আক্তার হোসেনপুর উপজেলার দক্ষিণ গোবিন্দপুর এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে। সে প্রাপ্তি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কিন্ডার গার্ডেনের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশ জানায়, মধ্যপাড়া উচ্চ উচ্চবিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ছিল। বিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য সকালে মোটরসাইকেলে বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ের দিকে যাচ্ছিল। মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল আলী আকবর। বানিয়াগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকা অতিক্রম করার সময় কিশোরগঞ্জগামী উজানভাটি পরিবহনের একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে তারা ছিটকে সড়কে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে আলী আকবর নিহত ও জুনায়েদ আহত হয়। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে জুনায়েদের মৃত্যু হয়। তাদের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী ও উত্তেজিত জনতা বানিয়াগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ এবং কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনার পর থেকে প্রায় দুই ঘন্টা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
অপরদিকে হোসেনপুর উপজেলার দক্ষিণ গোবিন্দপুর চৌরাস্তা এলাকায় স্কুল থেকে বের হওয়ার সময় দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নোহা আক্তার অটোরিকশা চাপায় গুরুতর আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম ও হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে নিশ্চিত করেছেন।