লামা (বান্দরবান) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:০১ পিএম
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৭:৫৭ পিএম
মুক্তিপণে ছাড়া পাওয়া শ্রমিকরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। প্রবা ফটো
বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালীর দুর্গম মুরুংঝিরি থেকে পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহৃত ২৬ জন রাবার শ্রমিককে মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাদেরকে ফাঁসিয়াখালির-ঈদগাও সীমানায় ছেড়ে দেয় তারা।
ছাড়া পাওয়া শ্রমিকদের অনেক মারধর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুক্তি পাওয়া শ্রমিক মো. আইয়ুব আলী, মো. ছিদ্দিক ও মো. আব্দুল খালেক
আরাফাত রাবার বাগানের মালিক মো. ফোরকান জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের কোনো অগ্রগতি না দেখে তারা মুক্তিপণের বিনিময়ে তাদের শ্রমিককে ছাড়িয়ে আনেন। তার বাগানের ১২ জনকে মুক্ত করতে ৩ লাখ টাকা আর বাকি পাঁচ বাগানের ১৪ জনকে মুক্ত করতে ৭ লাখ টাকাসহ মোট ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জিম্মিদের বেশি মারধর করা হয়েছে। উদ্ধারের পর তার বাগানের ১২ জনকে এখন কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁ উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকিরা কক্সবাজার, রামুসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
ছয়টি রাবার বাগান মালিক আবু বক্কর, নুর আহমদ, এহসান, সোনা মিয়া, হুমায়ুন এবং মো. ফোরকান জানান, মুক্তিপণ দিয়ে তাদের ছাড়াতে হয়েছে। সম্প্রতি বান্দরবানের সব কয়টি উপজেলায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের চাঁদাবাজি ও অপহরণের ঘটনা বেড়েছে। এসব এলাকার জনসাধারণ নিরাপত্তহীনতায় রয়েছে।
মুক্তিপণ দিয়ে মুক্ত শ্রমিকরা হলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ক্যংগার বিল এলাকার অধিবাসী মো. ফারুক, মো. আইয়ুব আলী, মো. ছিদ্দিক, মো. আব্দুল খালেক, আবদুল মাজেদ। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আলিখ্যং এলাকার অধিবাসী মনিরুল ইসলাম, মোবারক, মো. হারুন, রমিজ উদ্দিন, ছৈয়দ নুর, মো. কায়সার, মো. মনির হোসেন, মো. ইমরান। কক্সবাজার জেলার ইদগড় ইউনিয়নের মঞ্জুর, আফসার আলী, খায়রুল আমিন, আবু বক্কর, মো. আবদুর রাজ্জাক ও মুবিন (২৫)। অপহৃত আরও ৬ জন শ্রমিকের নাম পাওয়া যায়নি।
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘২৬ জন শ্রমিককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তারা বিভিন্ন স্থানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’