মাদারীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:১০ পিএম
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:২৭ পিএম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেছেন, আজকে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। একজন বলছে সংস্কার, একজন বলছে স্থানীয় নির্বাচন। আমরা বলছি জাতীয় নির্বাচনের আগে কোন নির্বাচন হতে দেব না। কারণ জাতীয় নির্বাচন হলে জনগণ আস্থা ফিরে পাবে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মাদারীপুর শহরের শকুনী লেকেরপাড় স্বাধীনতা অঙ্গনে জেলা বিএনপি আয়োজিত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে, অবনতিশীল আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এবং রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবিলাসহ বিভিন্ন গণদাবীতে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি ।
মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাফর আলী মিয়ার সভাপত্বিতে আয়োজিত জনসভায় তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন আগে আয়না ঘর পরিদর্শনে গিয়েছেন, সেখানে কি অবস্থা? এখান থেকে ফিরে এসে একজন বলেছেন তিনি বেঁচে থেকেও মরে গেছেন। অনেকেই সেখান থেকে এখনো ফিরে আসেনি। তার বিচার হতে হবে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহানের সঞ্চালনায় আয়োজিত জনসভায় তিনি বলেন, গুম খুনের জন্য জন্য দায়ী শেখ হাসিনা এবং তার দলবল দায়ী। তাদের বিচার হতে হবে।
সেলিমা রহমান আরও বলেন, বিএনপি আওয়ামীলী গীগের কোন দোসরদের জায়গা দিবে না। এ সময় তিনি আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি। তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছেন দ্রব্যমূলের সিন্ডিকেট ভাঙতে ছাত্রদল, যুবদলকে কাজ করতে হবে। জনগণের কাছে যেতে হবে। আওয়ামী লীগ যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ ১৫ বছর আপনাদের জন্য কারাগারে জীবন কাটিয়েছেন। তাকে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে এবং এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে তারেক রহমানকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। গত ১৬ বছর একটানা নির্মম অত্যাচার ও নির্যাতন করেছে শেখ হাসিনা এবং তার দলবল। বহু মানুষকে হত্যা করেছে। এই খুনিদের বিচার হতে হবে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে, আওয়ামী লীগের কোন দোসর যেন বিএনপির দলে জায়গা না পায়। কেউ আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। আর বাজার সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে।
জনসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খোন্দকার মাশুকুর রহমান ও সহ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, সহ গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, সদস্য কাজী হুমায়ুন কবির প্রমুখ। মাদারীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট মো. জাফর আলী মিয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহান এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন হাওলাদার, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী লাভলু, মিল্টন বৈদ্য, এ্যাড. জামিনুর রহমান মিঠু ও মিজানুর রহমান মুরাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান পলাশ, যুবদল, কৃষকদল, ছাত্রদল, শ্রমিকদল সহ নেতাকর্মী।