যশোর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:১৫ পিএম
মণিরামপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সদ্য বহিস্কৃত আহ্বায়ক মাকসিদুল আলম সোহান। ফাইল ফটো
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের যশোর জেলা শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা জামিনে মুক্তি পাওয়ায় মনিরামপুর থানায় হামলা হয়েছে। হামলার অভিযোগে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৪-১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
এর আগে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মনিরামপুর থানা চত্বরে বিক্ষোভ ও হামলার ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার মাকসিদুল আলম সোহান মণিরামপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সদ্য বহিস্কৃত আহ্বায়ক।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মনিরামপুর বাজার থেকে ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ রানা আটক করেন ছাত্রদলের নেতারা। পরে তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ তাকে আদালতে হস্তান্তর করেন। কিন্তু একদিনের ব্যবধানে তিনি জামিনে বের হন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তারা মনিরামপুর থানা চত্বরে গিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময়ে কতিপয় ছাত্রদলের সদস্যরা থানার পোস্টে হামলা ও ভাঙচুর করে।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সদস্যদের স্থানীয়রা আটক করে থানায় হস্তান্তর করছে। কিন্তু পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে না। এমনকি দুর্বল মামলার কারণে তারা আদালত থেকে জামিন পেয়ে যাচ্ছে। ফলে স্থানীয় নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
মনিরামপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, ‘আটকের পর দুই দিনে ৭ জন চিহ্নিত অপরাধীকে ছেড়ে দিয়েছেন মণিরামপুর থানার কর্মকর্তা আমিনুর মোহাম্মদ গাজী। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় নেতাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেই ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে থানার সামনে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করেছেন। তবে কোনো হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু ওসি অযাচিতভাবে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। এটা খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে আলোচনা শেষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বিষয়টি নিয়ে মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে অপরাধীদেরে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কিন্তু আদালত যদি তাদের জামিন দেয় সে ক্ষেত্রে পুলিশের কিছুই করার থাকে না। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা সেটা না বুঝেই অহেতুক পুলিশের ওপর অসন্তোষ ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। তবে থানায় হামলার ঘটনায় মামলা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।’