ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:০৭ পিএম
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:১৬ পিএম
প্রেমিকের বাড়িতে অনশনরত মাদ্রাসাছাত্রী তানহা। প্রবা ফটো
বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনরত মাদ্রাসাছাত্রী অবশেষে বিয়ে করেই অনশন ভেঙেছেন। সামাজিক ও পারিবারিক চাপে তরুণীকে বিয়ে করতে বাধ্য হন প্রেমিক মাহাদি হাসান। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার কয়েড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে দুই পরিবারের উপস্থিতিতে মাহাদি-তানহার বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে বিয়ের পরই আত্মগোপনে চলে যান নবদম্পতি।
প্রেমিকা তানহা তমা স্থানীয় সবুজ সঙ্গ দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং উপজেলার বরকতপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে।
অপরদিকে, প্রেমিক মাহাদি হাসান বরকতপুর জামে মসজিদের ইমাম এবং উপজেলার কয়েড়া গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে।
এর আগে রবিবার দুপুরে মাহাদিকে নৈতিক স্খলনের অভিযোগে ইমামের দায়িত্ব থেকে অপসারণের দাবি জানায় এলাকাবাসী। এ সময় সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একপর্যায়ে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হলে পুলিশ তালা ভেঙে মাহাদির কক্ষে প্রবেশ করে এবং খাটের নিচ থেকে তানহাকে উদ্ধার করে। ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এদিকে পরিবার ও সমাজের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত তানহা ওই রাতেই বিয়ের দাবি নিয়ে প্রেমিক মাহাদির বাড়িতে অনশন শুরু করেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, তাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করবেন তিনি!
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাহাদি বলেন, তানহার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমার কক্ষেও আসতে বলিনি। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে সামাজিক ও পারিবারিক চাপে বিয়ে করতে রাজি হওয়ার কথা জানান মাহাদি।
জানা গেছে, মাহাদি আগেও একবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন, তবে দীর্ঘদিন যোগাযোগ না থাকায় সেই সংসার নিয়ে একটি মামলা চলমান।
অন্যদিকে, মাহাদির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে তাকে ইমামের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।