বরগুনা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০০:৪৩ এএম
প্রবা ফটো
বরগুনায় স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করার পর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন স্বামী আবুল কালাম। পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে বরগুনা পৌরসভার সরকারি কলেজের মহিলা হোস্টেল সংলগ্ন বাগান বাড়ি নামক এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহত আসমা আক্তার পুতুল ৬ নম্বর কাজিরাবাদ ইউনিয়ন বকুলতলী গ্রামের মৃত মো. ইউনুস হাওলাদারের মেয়ে। তিনি পূর্বালী ব্যাংকে পরিছন্নতা কর্মী পদে চাকরি করতেন। অভিযুক্ত স্বামী মো. আবুল কালাম আকন বরগুনা পৌরসভার শহিদ স্মৃতি সড়ক বরিয়ালপাড়া নামক এলাকার মো. আব্দুল করিম আকনের ছেলে।
কালামের বাড়ির মালিক মো. রাসেল বলেন, এক বছরের বেশি সময় ধরে কালাম তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে আমার বাসায় ভাড়া থাকতেন। তবে আমি তাদের মধ্যে কোনো ধরণের পারিবারিক কলহ দেখতে পাইনি। এমনকি প্রতিবেশী যারা আছে তারাও দেখেনি। রাতে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে বাসায় এসে দেখি আসমা আক্তারকে মেরে আহত করে ঘর থেকে কালাম চলে গেছে।
আসমার খালাতো ভাই আল-আমীন বলেন, প্রায় শুনতাম পারিবারিক কোন্দল। খবর শুনে বাড়ি থেকে ছুটে আসি আসি, আসার পর দেখি মাটিতে নিথর দেহ পড়ে আছে। পরবর্তীতে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি। আমার বোনের হত্যার বিচার চাই।
আসমার মেয়ে রাকা মনি বলেন, বাবা আমাকে ঘুমের ঔষুধ দিয়ে ঘুম পরিয়ে দেয়। লোকজন এসে আমাকে উঠায়। উঠে দেখি আমার মায়ের দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। এলাকার লোকজন হাসপাতাল নিয়ে আসে।
এ বিষয় বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, আবুল কালাম নিজের স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফ্লোরে পড়ে থাকা আহত অবস্থায় আসমা আক্তারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে। এছাড়াও আবুল কালামকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানতে আবুল কালামকে জিজ্ঞেসাবাদ ও তদন্ত চলমান রয়েছে।
বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল হালিম বলেন, স্ত্রীর চাকরির বেতন না দেওয়ায় এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে ঘাতক স্বামী আবুল কালাম বর্তমানে ট্রমাটাইজ অবস্থায় থাকায় এই মুহূর্তে বেশি কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করা যাচ্ছেনা।