চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:০১ পিএম
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২৩:০১ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীসহ ১২৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনায় চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানায় মামলাটি হয়েছে।
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আদালতে মো. ইলিয়াছ নামে এক ব্যক্তি মামলার আবেদন করেছিলেন। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি থানায় রেকর্ড করার নির্দেশনা দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশনায় গত শুক্রবার ১২৭ জনের নাম উল্লেখপূর্বক এবং অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে থানায়।
মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ১৯নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নুরুল আলম মিয়া, ১৮নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুনুর রশিদ, চসিকের সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহীন আকতার রোজী, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, ১৯নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি রিজান চৌধুরী।
এর আগে, চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে মামলার আবেদন করেন একই থানার মধ্যম চাক্তাই এলাকার মদন মিয়ার ছেলে মো. ইলিয়াছ। তিনি পেশায় একজন পিকআপচালক। গত ৬ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে ৪র্থ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মোস্তফা সংশ্লিষ্ট থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের আদেশ দেন।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন- গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিতে তিনি বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ মীর পেট্রল পাম্পের সামনে বন্ধুরাসহ জড়ো হন। ওইদিন দুপুর থেকেই সেখানে অভিযুক্তরা কিরিচ, রামদা, লাঠিসোঁটা, দেশীয় ও বিদেশি অস্ত্রসহ নিয়ে অবস্থান নেন। এসময় মিছিল নিয়ে আসামিরা আন্দোলন বন্ধে এলোপাতাড়ি আঘাত করে এবং অস্ত্র ব্যবহার করে গুলিবর্ষণ ও হাতবোমা-ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা রিজান পিকআপচালকের মাথায় হত্যার উদ্দেশে কিরিচ দিয়ে কোপ মারে। এসময় তার কব্জির রগ কেটে যায়।
পরে একজন সিএনজি অটোরিকশাচালক তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অন্য একাধিক আসামি অবস্থান করছে জানতে পেরে তিনি স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে ফের ৬ আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত চমেক হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেন। এই ঘটনায় সুস্থ হয়ে তিনি বাকলিয়া থানায় মামলা করতে গেলে মামলা গ্রহণ করা হয়নি। ফলে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন।