বিএনপির মামলায় ৩ ব্যবসায়ী আসামি, প্রতিবাদে মানববন্ধন

টেকনাফে সম্প্রতি বিএনপির করা একটি মামলায় তিন ব্যবসায়ীকে আসামি করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় উপজেলা স্থলবন্দরের সামনে এবং দুপুর ২টায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৃথকভাবে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচি পালন করেছে স্থলবন্দরের আমদানি ও রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের সংগঠন টেকনাফ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। অন্যদিকে বাসস্ট্যান্ডে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের প্রতিনিধি ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কর্মসূচি পালন করেছে। এতে আমদানি-রপ্তানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।

পৃথক কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলায় র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত যুবলীগ নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর একরামুল হকের ভাই সাবেক কাউন্সিলর ও টেকনাফ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহতেসামুল হক বাহাদুর, ব্যবসায়ী নুরু কায়েস ও আব্দুল আজিজকে আসামি করা হয়েছে। এটি খুবই নিন্দনীয়। এটি একটি রাজনৈতিক মামলা। এতে নিরপরাধ ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। বক্তারা অবিলম্বে মামলা থেকে তিন ব্যবসায়ীর অব্যাহতি দেওয়ার আহ্বান জানান।

স্থলবন্দরের কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেনÑ সিঅ্যান্ডএফ প্রতিনিধি ও আমদানিকারক মো. কাদের, আবু সিদ্দিক, সামির কায়সার, সুহেল, ববি, মেহেদি, সাইদুল প্রমুখ। বাসস্ট্যান্ডে কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেনÑ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের প্রতিনিধি রুবায়েত হাসান, রবিউল হাসান মামুন, ইয়াছিন আরাফাত প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ১০ ফেব্রুয়ারি উপজেলার রঙ্গিখালী এলাকার বাসিন্দা পুলিশের তালিকাভুক্ত ‘অপহরণ চক্রের প্রধান’ হিসেবে পরিচিত শাহ আলম বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি মামলা করেছেন। বিগত ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় রঙ্গীখালির গাজিপাড়ায় ধানের শীষ প্রতীকের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও মারধর করার ঘটনায় এই মামলা করা হয়। মামলায় ৪৭ জনের উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

মামলার বাদী এজাহারে নিজের রাজনৈতিক পরিচয়ে বলেছেন, তিনি ২০১৮ সালে উপজেলা শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদের সিনিয়র সহসভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি হ্নীলা ইউনিয়ন বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক।