গাজীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:৩১ পিএম
আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা
টঙ্গীর তুরাগ তীরে আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো এবারের ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমা। নিজামুদ্দিন মারকাজের শীর্ষ মুরুব্বি সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের ইজতেমায় অংশ নেন দেশি-বিদেশি মুসল্লিরা। মোনাজাতে বিশ্ব শান্তি ও মুসলিম উম্মার কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
ভোর থেকে যে যেভাবে পারেন ইজতেমা ময়দানের দিকে ছুটে যান। উদ্দেশ্য আখেরি মোনাজাতে অংশ নেওয়া। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় হেঁটেও রওনা হন অনেকে।
তিনদিন ধরে তাবলীগ জামায়াতের নানামুখী শিক্ষা শেষে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টা ৩৮ মিনিটে মোনাজাত শুরু হয়। টানা ২৯ মিনিটের মোনাজাতে শেষ হয় এবারের বিশ্ব ইজতেমার সর্বশেষ পর্ব। মোনাজাত পরিচালনা করেন দিল্লির মাওলানা সাদের বড় ছেলে ইউসুফ বিন সাদ কান্ধলভি। এসময় আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো ময়দান।
মোনাজাত উপলক্ষে মুসুল্লিদের বাড়ি ফেরার সুবিধায় রেলওয়ে বিভাগের পক্ষ থেকে ৮টি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়। ৫টি বিশেষ ট্রেন ছাড়া সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি রাখা হয় টঙ্গি স্টেশনে।
ইজতেমার পার্শ্ববর্তী মহাসড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং মুসল্লিদের নিরাপদে ফিরতি যাত্রা নিশ্চিত করতে মোতায়েন রাখা অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ।
নিজামুদ্দিন মারকাজের অনুসারী মুরুব্বি ও মুসল্লিদের দাবি, সকল ভেদাভেদ ভুলে সবার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ ইজতেমা আয়োজন ও আগামী পর্বে দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হোক।
উল্লেখ্য, ১৯৪৬ সালে প্রথম কাকরাইল মসজিদে ইজতেমা আয়োজন করা হয়। ১৯৬৬ সালে গাজীপুরে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বর্তমান ময়দানে স্থানান্তর করা হয় বিশ্ব ইজতেমা। গত ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি শুরায়ি নেজাম তাবলিগ জামাত বাংলাদেশের আয়োজনে টানা ৬ দিনব্যাপী প্রথম পর্বের ইজতেমা আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। মাঝে ৮ দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযের অনুসারী (মাওলানা সাদপন্থি) মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেন।