বাগেরহাট প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:৫৩ পিএম
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:৫৬ পিএম
কলেজের অধ্যক্ষের কাছে প্রতিবাদলিপি দেন বিক্ষোভকারীরা। প্রবা ফটো
বাগেরহাট সদরে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার দেপাড়া বেলায়েত হোসেন ডিগ্রি কলেজের সামনে পরীক্ষা বর্জন করে ছাত্রদের উদ্যোগে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে একটি প্রতিবাদলিপি দেন তারা।
এ সময় সালমান প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযোগ উঠা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিস এবং তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, ১০ ফেব্রুয়ারি বেলায়েত হোসেন ডিগ্রি কলেজের ইসলামের ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানের নাম জুড়ে দিয়েছে। সেই সঙ্গে দেশে বিভাজন সৃষ্টির জন্য একটি প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলকে উদ্দেশ্য করে খুবই অরুচিকর ভাষায় প্রশ্ন জুড়ে দিয়ে স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্রে বিভক্তির অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। প্রশ্নপত্র প্রনয়ণকারী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. খসরুল আলম দেশের ইতিহাস বিকৃতি করে এক নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে। এর মাধ্যমে ১৯৭১ ও ২০২৪ এ হাজারো শহীদদের বিপক্ষে এ প্রতিষ্ঠানকে দাঁড় করিয়ে কলেজের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, কয়েকমাস আগে এ জাতির উপর বর্বর গণহত্যা চালানোর মাধ্যমে পুনরায় বাকশাল কায়েমের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে হাজার হাজার তরুণকে প্রকাশ্যে রাজপথে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে, এই আওয়ামী লীগকে পুর্নবাসনের চেষ্টা করা হয়েছে। তাই প্রশ্নপত্র প্রণয়নের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট সবাইকে আইনের আওতায় আনাসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্পষ্ট ভাষায় ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান তারা বক্তারা। অন্যথায়, বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-সমাজ বিপ্লবী পথে হাটতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ছাত্ররা।
এ বিষয়ে প্রশ্নপত্র প্রনয়ণকারী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো খসরুল আলম বলেন, ‘ভুলবশত ঘটনাটি ঘটেছে।’
বেলায়েত হোসেন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ উঠা শিক্ষকের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে । এছাড়া ১০ ফেব্রুয়ারির পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট গঠন করা করা হয়েছে। প্রশ্নপত্র প্রনয়ণকারী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. খসরুল আলমকে তিন কর্মদিবসের মধ্যে ঘটনার ব্যাখ্যা ডিদতে বলা হয়েছে।’