চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:২৭ পিএম
বুধবার সিডিএতে অভিযানে দুদকের কর্মকর্তারা দুই প্রকল্পের বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই-বাছাই করেন। প্রবা ফটো
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) উদ্যোগে বাস্তবায়ন করা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও আউটার রিং রোড প্রকল্পে দুর্নীতির অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাই প্রথমবারের মতো সিডিএ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুদক।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) অভিযানে দুদকের কর্মকর্তারা দুই প্রকল্পের বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই-বাছাই করেন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়–১ এর সহকারী পরিচালক সাঈদ মাহমুদ ইমরান।
অভিযান সম্পর্কে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে সিডিএতে অভিযান পরিচালনা করতে বলা হয়েছে আমাদের। সিডিএর বাস্তবায়ন করা দুইটি প্রকল্পে নিয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। এরমধ্যে লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজে অনিয়ম। বিশেষ করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগে ফাটল দেখা দেওয়া, যেখানে সেখানে র্যাম্প করা, রেলিংয়ে ঠিকমতো নাট-বল্টু লাগানো হয়নি। প্রকল্পটিতে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। এই ধরনের নানা অভিযোগ ছিল।
আরেকটা- সাগরিকা থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত চট্টগ্রাম আউটার রিং রোড প্রকল্প জানিয়ে সাঈদ মাহমুদ ইমরান আরও বলেন, আউটার রিং রোড প্রকল্প বিষয়ে অভিযোগ ছিল-সিডিএর আটজন কর্মকর্তা সেখানে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছে। অভিযোগ হচ্ছে-ওনারা সিডিএ থেকেও বেতন নিচ্ছেন আবার ওই প্রকল্প থেকে বেতনের ৪০ শতাংশ ভাতা নিচ্ছেন, যেটা অনেক টাকা। সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী কোনো কর্মকর্তা অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করলে মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা দেড় হাজার টাকা পান। ওনারা যে ৪০ শতাংশ ভাতা নিয়েছেন সেটা কীভাবে নেওয়া হয়েছে? তা খতিয়ে দেখতে নথিপত্র তলব করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সিডিএর সচিবের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি। তিনি নিজেও বলেছেন এখানে কিছু অনিয়ম আছে। ওই দুটি প্রকল্পের যাবতীয় নথিপত্র আমরা নিয়েছি। কিছু রেকর্ড পাইনি। কালকের মধ্যে সেগুলো আমাদের দিতে বলেছি। সব পেলে ঢাকায় আমরা পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেব।
সিডিএ সূত্রে আরও জানা যায়, সিডিএর উদ্যোগে চার হাজার ২৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নগরীর পতেঙ্গা থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত চারলেন বিশিষ্ট ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৫৪ ফুট প্রস্থের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হয়েছে। তবে এখনও র্যাম্প নির্মাণকাজ শেষ করতে পারেনি সংস্থাটি। এরমধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারিতে এক্সপ্রেসওয়েটি বাণিজ্যিকভাবে যান চলাচল শুরু হয়েছে। এছাড়া দুই হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরীর পতেঙ্গার টানেলের মুখ থেকে সাগরিকা পর্যন্ত সাগর তীরবর্তী আউটার রিং রোড নির্মাণ করা হয়েছে। চার লেনের ১৫ দশমিক ২ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৮৪ ফুট প্রস্থের সড়কটি ২০২০ সাল থেকে যানবাহন চলাচল করছে।