কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩৫ পিএম
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৪২ পিএম
ইয়াবাসহ আটক উম্মে জামিলা ও তার বোন উম্মে হাবিবা। পাশে জামিলার স্বামী আকতার হোসেন। প্রবা ফটো
পেটে ইয়াবা বহন করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে কক্সবাজার বিমানবন্দরে দুই বোনকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। পরে আটকদের তথ্যমতে ঢাকায় আটক হয় এক বোনের স্বামী। পরে আটক নারীদের কাছ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় কক্সবাজার বিমানবন্দরে এ অভিযান চালানো হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দুই বোন পেটে দুই হাজার করে ৪ হাজার পিস ইয়াবা বহন করে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। ইতোমধ্যে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ১ হাজার ৭০০টির বেশি ইয়াবা বের করতে সক্ষম হয়েছে।
আটকরা হলেন, টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ঝিমংখালী এলাকার আকতার হোসেন (৩২) এবং তার স্ত্রী উম্মে জামিলা (২৫) ও শ্যালিকা উম্মে হাবিবা (২০)।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এ কে এম দিদারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে গোপন তথ্য ছিল টেকনাফ থেকে ইয়াবার চালান বিমান যোগে ঢাকায় পাচার করা হবে। এ তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবস্থান করে। একপর্যায়ে ইয়াবার চালান বহনকারী তিনজনকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। তাদের মধ্যে জামিলার স্বামী আকতার হোসেন আগেই একটি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দ্যেশে রওনা দেন। কৌশলগত কারণে আকতার হোসেনকে প্রথমে আটক করা হয়নি। তিনি আলাদা ফ্লাইটে ঢাকা রওনার পর দুই বোনকে সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়। পরে তারা পেটে ইয়াবা বহনের তথ্য স্বীকার করে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, দুই বোনকে আটকের পরে একটি প্যাথলজি সেন্টারের ল্যাবে গিয়ে এক্সেরে করা হয়। এতে তাদের পেটে ইয়াবার চালান থাকার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়।
‘আটক দুই বোনকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে এনে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ইয়াবা বের করার কার্যক্রম শুরু করা হয়। দুপুর ২টা পর্যন্ত ১ হাজার ৭০০টির বেশি ইয়াবা বের করতে সক্ষম হন। বাকিগুলোও বের করার প্রক্রিয়া চলছে।’
আটকদের স্বীকারোক্তিতে ইয়াবা বহনের সত্যতা নিশ্চিতের পর ঢাকা বিমানবন্দর থেকে উম্মে জামিলার স্বামী আকতার হোসেনকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পৃথক আরেকটি দল অভিযান চালিয়ে আটক করেছে বলে জানান এ কে এম দিদারুল আলম।
তিনি জানান, আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে কক্সবাজার সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।