চাঁদপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:৩১ এএম
আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:২৬ পিএম
চাঁদপুরের ছয়টি মডেল মসজিদগুলোর বকেয়া বিদ্যুৎ বিল প্রায় ২০ লাখ টাকা। প্রবা ফটো
চাঁদপুরের মডেল মসজিদগুলোর বকেয়া বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। দায় নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কেউ। জেলার ৯টি মডেল মসজিদের মধ্যে ছয়টিতে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে প্রায় ২০ লাখ টাকা। সবচেয়ে বেশি বকেয়া কচুয়া উপজেলা মডেল মসজিদে। সেখানে গত তিন বছরে সাড়ে ৭ লাখ টাকার বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রয়েছে।
কচুয়া মডেল মসজিদের ফিল্ড সুপার ভাইজার মো. হাসান মজুমদার বলেন, ‘আমাদের মসজিদের
বিদ্যুৎ বিল বকেয়া প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতি মাসে ১০০ ইউনিটের বিদ্যুৎ বিল
ইসলামিক ফাউন্ডেশন দেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু এখানে সাব-স্টেশন স্থাপন করায় বিদ্যুৎ
সরবরাহ না থাকলেও বিল আসবে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। এখন প্রতি মাসে বিল আসে ২০ থেকে
২২ হাজার টাকা। অথচ শুক্রবার জুমার নামাজের সময় উঠে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। প্রথম কিছু বিল
তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সমন্বয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশনের
নিয়ম অনুযায়ী, মডেল মসজিদে ১১ জন বিশিষ্ট একটি কমিটি রয়েছে। তবে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসায়
কেউ দায়িত্ব নিতে চান না। এখানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অফিস ছাড়াও হাফেজিয়া মাদ্রাসা,
ইমাম প্রশিক্ষণ, ইসলামিক পাঠাগার ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রয়েছে।’
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. বেলায়েত
হোসেন বলেন, ‘কচুয়া মডেল মসজিদের বিদ্যুৎ বিল দিচ্ছে না গত তিন
বছর ধরে। এ ছাড়া হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি মডেল মসজিদেরও বিল বকেয়া রয়েছে। এই তিনটিতে বিদ্যুৎ
বিল বকেয়া রয়েছে প্রায় ১২ লাখ টাকা। সরকারের সংশ্লিষ্ট
কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন।’
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. রাশেদুজ্জামান
জানান, তাদের এলাকায় চারটি মডেল মসজিদ রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে- মতলব দক্ষিণ, ফরিদগঞ্জ,
মতলব উত্তর ও হাইমচর উপজেলা মডেল মসজিদ। মতলব উত্তরের মডেল মসজিদে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ
চালু হয়নি। বাকি তিনটিতে বকেয়া ৫ লাখ ২৪ হাজার টাকা।
চাঁদপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের হিসাব রক্ষক ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘চাঁদপুরের
নয়টি মডেল মসজিদ। জেলা মডেল মসজিদ এখনও হয়নি। বাকি আট উপজেলায় ৮টি ইতোমধ্যে নির্মাণ
কাজ সম্পন্ন হয়েছে। একটি এখনও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়নি। জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যালয়
পরিচালনা করা হচ্ছে সদর উপজেলা মডেল মসজিদ থেকে। এই মসজিদে মিটার সিস্টেমে বিল পরিশোধ
করতে হয়। ইতোমধ্যে তাদের বাজেটও শেষ পর্যায়ে।’
গত নভেম্বরে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে- চাঁদপুরের উপজেলা মডেল মসজিদগুলোতে
প্রায় ১৭ লাখ টাকা বকেয়া ছিল। বর্তমানে তা প্রায় ২০ লাখে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।