শিবচর
শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৩৯ পিএম
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৫১ পিএম
মাদারীপুরের শিবচরে ভাড়ার ৪৫০ টাকা চাওয়ায় পরিকল্পিতভাবে গলা কেটে হত্যা করা হয় ভ্যানচালক মিজানুর রহমান গাজীকে। পরে তার অটোভ্যানটি নিয়ে যায় তারা। আদালত ও পুলিশের কাছে এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামি।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব জানান সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) আজমীর হোসেন।
গ্রেপ্তাররা হলেনÑ শিবচর পৌরসভার কেরানীর বাট এলাকার নবীনূর বেপারির ছেলে আরিয়ান আহমেদ স্বাধীন, উপজেলার শিকদারকান্দি গ্রামের হুমায়ুন শিকদারের ছেলে হান্নান ও কেরানীর বাট গ্রামের মামুন মিনার ছেলে আল আমিন। আর নিহত ভ্যানচালক মিজানুর রহমান গাজী চরকাচিকাটা গ্রামের লাভলু গাজীর ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আরিয়ান আহমেদ স্বাধীনের কাছে ভ্যানভাড়া বাবদ ৪৫০ টাকা পেতেন মিজানুর রহমান গাজী। পাওনা ৪৫০ টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রায়ই মিজানুরের সঙ্গে স্বাধীনের কথা-কাটাকাটি হতো। এতে স্বাধীন ক্ষিপ্ত হয়ে ভ্যানচালক মিজানুরকে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। এর জেরে গত ৬ ফেব্রুয়ারি স্বাধীন তার বন্ধু হান্নানকে দিয়ে মিজানুরের ভ্যান ভাড়া করেন। হান্নান ভ্যানসহ মিজানুরকে কৌশলে কাদিরপুর ইউনিয়নের পবন মোড়লের চরকান্দি গ্রামের একটি ভুট্টাক্ষেতের পাশে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন স্বাধীন ও তার আরেক বন্ধু আল আমিন। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর প্রথমেই স্বাধীন ধারালো ছুরি দিয়ে মিজানুরের গলায় আঘাত করেন। আল আমিন ও হান্নান ধারালো ছুরি দিয়ে শরীরের অন্যান্য স্থানে আঘাত করেন। এতেই মৃত্যু হয় ভ্যানচালক মিজানুরের। হত্যার পর তারা মিজানুরের ভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যান। পরদিন ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে সংলগ্ন ভুট্টাক্ষেত থেকে মিজানুরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সহকারী পুলিশ সুপার আজমীর হোসেন বলেন, ‘ভ্যানচালক মিজানুরের লাশ উদ্ধারের পর তার মা মলিনা বেগম দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও শিবচর থেকে কাঁঠালবাড়ী পর্যন্ত এলাকার অন্তত ৫০টি সিসি ক্যামেরা পর্যালোচনা করে শতভাগ নিশ্চিত হয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করি। আসামিরা পুলিশ ও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। মূলত ভ্যানভাড়ার ৪৫০ টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করেই আসামিরা মিজানুরকে হত্যা করে। ভ্যানটি অন্যত্র বিক্রি করে। আমরা সেটি উদ্ধারে কাজ করছি।’