শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিবদেক
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:০৩ পিএম
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:০৮ পিএম
গাজীপুরের শ্রীপুরে বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে। প্রবা ফটো
গাজীপুরের শ্রীপুরে বিভিন্ন দাবিতে মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন কারখানার শ্রমিকেরা। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের ক্রাউন এক্সক্লুসিভ ওয়্যার লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা এ বিক্ষোভ করেন।
এ সময় সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে এবং আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করা হয়। তাতে ওই সড়কে চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে কয়েকটি দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে শ্রমিকরা দুপুর সোয়া ১টার দিকে সড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
কারখানাটির বিক্ষোভকারী শ্রমিকরা জানান, বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি, বিগত দুই বছরের অর্জিত ছুটির টাকা, টিফিন বিল, হাজিরা বোনাস না দেওয়ায়, কারখানায় মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া, শ্রমিক ছাঁটাই, প্রশাসন এবং উৎপাদন বিভাগের কর্মকর্তাদের দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদ তারা জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
কারখানার লিংকিং অপারেটর রফিকুল ইসলাম, জোবায়ের হোসেন, সুইং অপারেটর সুলতানা আক্তার ও জায়েদা খাতুনসহ অন্যরা জানান, কথায় কথায় শ্রমিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ, প্রতিবাদ করলেই কোনও কারণ ছাড়াই ছাঁটাই এবং ছাঁটাইয়ের হুমকি দেয় কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে বকেয়া পরিশোধের দাবিসহ বিভিন্ন দাবি করে এলেও কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবির কোনও গুরুত্ব দেয় না। যৌক্তিক কোনও আবেদন জানালেই দুর্ব্যবহার করে, তাদের সঙ্গে উৎপাদন বিভাগের সুইং ইনচার্জ কাইয়ূম ও লিংকিং ইনচার্জ ফেরদৌস খারাপ আচরণ করে। তারা ওই দুই কর্মকর্তার অপসারণ দাবি করেন। যে বেতন পান সেই বেতনে সংসার চালাতে তাদের কষ্ট হয়। সেই বেতন ও অন্য টাকাপয়সা ঠিক সময়ে না দিলে জীবনযাপন করতে হয়।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের ইনচার্জ (শ্রীপুর জোন) আব্দুল লতিফ বলেন, ‘বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকেরা মাওনা-কালিয়াকৈর সড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিল। পরে শ্রমিক প্রতিনিধিদেরকে সঙ্গে নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। কারখানা কর্তৃপক্ষের শ্রমিকদের কয়েকটি দাবি মেনে নেওয়ায় শ্রমিকরা সড়ক থেকে সরে গেলে দুপুরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।’
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, ‘খবর পেয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিল্প পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে শ্রমিক ও মালিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করা হয়েছে। তাদের দাবির মধ্যে কারখানায় মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনুমতি ও দুই ইনচার্জকে দায়িত্ব থকে অপসারণের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’
এসব বিষয়ে ক্রাউন এক্সক্লুসিভ ওয়্যার পোশাক কারখানার কোনো কর্মকর্তা গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।