প্রভাবশালীর কাণ্ড
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:০২ পিএম
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:১৯ পিএম
পাবনার ঈশ্বরদীতে বিরোধের জেরে সড়কে বাঁশের বেড়া দিয়ে মানুষের চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোন্তাজ খাঁ নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সড়কটিতে চলতে না পারায় ২০টি পরিবারের শতাধিক মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। তারা বাজারে যাওয়া-আসা করতে পারছেন না।
শিক্ষার্থীরা যেতে পারছেন না স্কুল-কলেজে। এ ছাড়াও নানা ভোগান্তি তাদের পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের মাদ্রাসাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, মাদ্রাসাপাড়া গ্রামের মৃত হারেজ উদ্দিন খাঁর ছেলে অভিযুক্ত মোন্তাজ খাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ জানুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদের আমিন এসে পাশের বাসিন্দা মৃত আনসার আলী প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল হামিদ ও তার ভাইদের জমির সীমানা নির্ধারণ করে দিয়ে যায়। হঠাৎ করে দুই সপ্তাহ পর গত সোমবার সকালে সড়কে মুন্তাজ খাঁ বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেন। ফলে সড়কে কেউ চলাচল করতে পারছেন না। সেই সঙ্গে ২০টি পরিবারের সবাই ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন।
ভুক্তভোগী আব্দুল হামিদ নামে এক স্থানীয় জানান, ‘সড়কের দুই পাশে বাঁশ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে মুন্তাজ খাঁ। এতে হাটবাজার, হাসপাতাল, প্রাত্যহিক কাজ ও বয়োবৃদ্ধ মানুষরা মসজিদে নামাজ পড়তে যেতে পারছেন না। এ ছাড়াও স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসাপড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।’
আমিরুল ইসলাম নামে আরও একজন ভুক্তভোগী জানান, ‘শত বছর ধরে আমরা স্থানীয় বাসিন্দারাসহ পাশের গ্রামের শত শত নারী-পুরুষ এই সড়কে চলাচল করে আসছি। গায়ের জোরে সড়ক বন্ধ করায় আমরা এখন ঘরবন্দি। এভাবে চলাচলের সড়ক বন্ধ করা অমানবিক কাজ।
অভিযুক্ত মোন্তাজ খাঁ মোবাইল ফোনে বলেন, এখানে কোনো সরকারি সড়ক নেই। এই জমির মালিক আমি। আমার জমি আমি বেচতেও পারি। বন্ধ করেও দিতে পারি। এটা আমার ব্যাপার। এ বিষয়ে সলিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মহির মণ্ডল বলেন, ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি। আগামী বৃহস্পতি বা শুক্রবারের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যরা সেখানে পর্যবেক্ষণে যাবেন।
সড়কে বেড়া দিয়ে শতাধিক মানুষকে ঘরবন্দি করে রাখার ব্যাপারে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সূবীর কুমার দাশ বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টির দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।