ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে টাকা লুটের অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে

বেল্লাল চৌকিদার নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে আট লাখ টাকা লুটের অভিযোগ ওঠেছে এক বিএনপি নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা করলে ওই ব্যবসায়ীকে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মো. কবির ফকির ও তার লোকজন প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। হুমকির ভয়ে মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না ওই ব্যবসায়ী। 

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ব্যবসায়ী এমন অভিযোগ করেছেন।

দ্রুত বিএনপি নেতা কবির ফকির ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। 

জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারি ইউনিক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আমতলী পৌরসভার বটতলা ঢাকা বাসস্ট্যান্ডের ইউনিক কাউন্টার সামসুল হক চৌকিদারকে লিখিত কাউন্টার পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। কিন্তু গত শনিবার ওই কাউন্টার পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কবির ফকির ও তার লোকজন জোরপূর্বক দখল করে। এতে দুইপক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে কাউন্সিলর সামসুল হক চৌকিদারের চাচাতো ভাই মেসার্স মায়ের দোয়া ট্রেডার্সের মালিক বেল্লাল চৌকিদারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কবির ফকিরের নেতৃত্বে তার চাচাতো ভাই উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন ফকিরের ছেলে রাহাত ফকির ও ফরহাদ ফকিরসহ ৩০ থেকে ৪০ জন সন্ত্রাসীরা দোকানে হামলা চালায়। ওই সময় ব্যবসায়ী তাদের বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে ক্যাশ বাক্স ভেঙে প্রায় ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

ব্যবসায়ী বেল্লাল চৌকিদার অভিযোগ করেছেন, এ ঘটনায় মামলার উদ্যোগ নেওয়া হলে বিএনপি নেতা কবির ফকির ও তার সহযোগীরা তাকে ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তার ভয়ে তিনি আইনগগত ব্যবস্থা নিতে পারছে না। দ্রুত বিএনপি নেতা কবির ফকির ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আমতলী পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কবির ফকির। তিনি বলেন, ‘আমি ও আমার লোকজন কারও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও টাকা লুট করেনি। মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’