আমতলী (বরগুনা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:০১ পিএম
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:০৭ পিএম
দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো আতাহার ও আদিবের পরিবারের আহাজারি। প্রবা ফটো
মাহেন্দ্র গাড়ির দুই যাত্রী আতাহার গাজী (৬০) ও তার নাতি আদিব। নাতিকে নিয়ে মেয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন আতাহার। পথিমধ্যে ইউনিক পরিবহনের এক বাসচাপায় তাদের পথচলা থেমে যায়। বাসচাপায় আহত হয়ে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় নানা-নাতির। এ ঘটনায় শহীদুল ইসলাম হাজী নামে এক বাইকচালকও নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ২টার আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের আমড়াগাছিয়া রহমান ফিলিং স্টেশনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী মিজানুর রহমান ও রাহাত তালুকদার জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুয়াকাটাগামী ইউনিক পরিবহন বাসটি আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের আমড়াগাছিয়া রহমান ফিলিং স্টেশনের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী মাহেন্দ্র গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাহেন্দ্র গাড়িটি সড়কের পাশে পড়ে যায়। পরে ওই মাহেন্দ্র গাড়ির পেছনে থাকা বাইকের ওপর তুলে দেয় বাসটি। এতে ঘটনাস্থলেই বাইকের চালক শহীদুল নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আদিবকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখান থেকে নানা আতাহার গাজীকে বরিশাল নেওয়ার পথে বিকালে তারও মৃত্যু হয়।
নিহত শহীদুল হাজীর বাড়ি গুলিশাখালী ইউনিয়নের ডালাচালা গ্রামে। তার বাবার নাম রফিক হাজী। নিহত শিশু আদিবের বাড়ি চাওড়া লোদা গ্রামে। তার বাবার নাম হিমু আকন। নানা আতাহার গাজীর বাইনবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
নিহত আতাহার গাজীর মেয়ে সালমা বলেন, ‘বাসচাপায় আমার বাবা ও আমার বোনের ছেলে নিহত হয়েছে। বাবা তার নাতিকে নিয়ে বোনের বাড়ি যাচ্ছিলেন। এ ঘটনার বিচার চাই।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছে। স্বজনদের দাবির প্রেক্ষিতে মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে বাসের চালক পালিয়ে গেছে।’