গাজীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪৪ পিএম
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুরের দুই কারাগারে পৃথক ঘটনায় দুই কয়েদির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে গাজীপুর জেলা কারাগারে ও অপর জনের মৃত্যু হয়েছে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ এ।
গাজীপুর জেলা কারাগারে মারা যাওয়া কয়েদির নাম ওমর ফারক (৩৩)। তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়া থানাধীন টোকা ইউনিয়নের বীর উজ্জলী গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে। দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি তিনি। কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের পার্ট-১ এ মারা যাওয়া কয়েদির নাম দুলাল উদ্দিন (৫২)। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার তো ইউনিয়নের কেন্দুয়াব গ্রামের মহিন উদ্দিনের ছেলে।
কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ওমর ফারুক ২০১৯ সালের কাপাসিয়া থানার একটি মামলায় দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সম্প্রতি তিনি কারাগারের ভেতরে কারা কর্মকর্তাকে মারধর করার কারণে আরও একটি মামলার আসামি। অপরদিকে, দুলাল উদ্দিন কাপাসিয়া থানার একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন।
গাজীপুর জেলা কারাগারে জেল সুপার রফিকুল কাদের জানান, সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে ৩টার মধ্যে কারাগারের একটি সেলে বন্দি থাকা অবস্থায় ওমর ফারুক গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বিষয়টি কারারক্ষীদের নজরে এলে ফারুককে কারা অভ্যন্তরে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরিস্থিতির অবনতি হলে মুমূর্ষু অবস্থায় ফারুককে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক তার মৃত্যুর সনদে ব্রড ডেথ বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ওই ঘটনায় ডিআইজি প্রিজন তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির প্রধান করা হয়েছে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-২ এর জেল সুপার আল মামুন। অন্য দুই সদস্যরা হলেন, কিশোরগঞ্জ কারাগারের জেলার সর্বোত্তম দেওয়ান ও কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. ইব্রাহীম।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ এর জেলার তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বন্দি দুলাল মিয়া কাপাসিয়া থানার একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি। তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। বেশ কয়েকবার তাকে ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়েছে। সর্বশেষ তিনি গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এই কারাগারে আসেন। সোমবার রাত ১১টার দিকে তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’