ঝিনাইদহ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:২৪ পিএম
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪৪ পিএম
মোশারফ হোসেন। ছবি : সংগৃহীত
ঝিনাইদহে মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার হাকিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন।
নিহত মোশারফ হোসেন ওই এলাকার খবির মণ্ডলের ছেলে।
নিহতের ভাই দবির উদ্দিন জানিয়েছেন, মোশারফ গ্রামে বিএনপির দলীয় কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চাঁদপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামসহ ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গ্রামবাসীদের অনেকে ভয়ে এলাকা ছেড়েছে। এদিকে গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে ওয়াজ মাহফিলের কমিটি গঠন ও অতিথি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির সাইদ হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন দুলু গ্রুপের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে এলাকায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর পর মঙ্গলবার সকালে দেলোয়ার হোসেন দুলু সমর্থিত বিএনপির কর্মী মোশাররফ নিজ বাগানে কলা কাটতে গেলে সোমবারের সহিংসতার জেরে সাইদ হোসেন গ্রুপের ১০-১২ জন সমর্থক তার ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এ সময় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে উপুর্যপুরি কোপানো হলে ঘটনাস্থলে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন উভয়পক্ষের অন্তত ৬ জন। তাদেরকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে নাসির উদ্দিন ও কাওছার আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছে।
স্থানীয় চাঁদপুর ইউনিয়নের মেম্বার আশরাফ উদ্দীন স্বপন জানান, সামাজিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে বিএনপির স্থানীয় নেতা সাইদ হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন দুলু গ্রুপের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা হয়।
হরিণাকুন্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ আব্দুর রউফ বলেন, ‘সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি। এ ঘটনায় মহিন নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।’