লক্ষ্মীপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:১১ পিএম
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৫৯ পিএম
উত্তেজিত জনতা আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করছে। প্রবা ফটো
লক্ষ্মীপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে চার আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে ফের ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উত্তেজিত ছাত্র-জনতা শহরের উত্তর তেমুহনী থেকে মিছিল নিয়ে এসে হাতুড়ি ও হ্যামার দিয়ে ভাঙচুর শুরু করে। এ প্রতিবেদন লেখার সময় দলবদ্ধ হয়ে আলাদা ভাঙচুর চলছিল।
ক্ষতিগ্রস্ত বাসাগুলো হলো- লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ কে এম সালাহ উদ্দিন টিপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক রাকিব হোসেন লোটাসের বহুতল ভবন। এর মধ্যে লোটাসের ভবন ছাড়া অন্য নেতাদের ভবনগুলোতে গত বছরের ৪, ৫, ৬ আগস্ট দফায় দফায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় মালামাল লুটে নেয় উত্তেজিতরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভাঙচুরের ঘটনা দেখতে উৎসুক জনতা বাড়িগুলোর আশপাশে ভিড় জমিয়েছে। ‘শেখ হাসিনার আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’, ‘শেখ হাসিনার ঠিকানা, এ বাংলায় হবে না’- এমন বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে ভাঙনে অংশগ্রহণকারীরা।
অন্যদিকে বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় চকবাজার থেকে উত্তর স্টেশন সড়ক বন্ধ রয়েছে। এতে বাজারে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিপরীত সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে। এছাড়া বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় সামনের বৈদ্যুতিক খুঁটির তার ছিঁড়ে পড়েছে। এ ঘটনার আগেই বাজারের বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু নেতাকর্মীদের নিয়ে বাসার ছাদ থেকে প্রায় ৪ ঘন্টা গুলি করে। তার গুলি শেষ হওয়ার পর ওইদিন বিকালে ছাত্র-জনতা বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়, ভাঙচুর চালায়। টিপুসহ যুবলীগ-ছাত্রলীগের গুলিতে ওইদিন ৪ শিক্ষার্থী নিহত হয়।
এছাড়া তমিজ মার্কেট এলাকায় গণপিটুনি ও আগুনে আরও ৮ জন মারা যান। তারা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা ও টিপুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় বিজয় র্যালি থেকে দ্বিতীয়বার আগুন দেয় ছাত্র-জনতা। টিপু লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আবু তাহেরের মেঝ ছেলে।