আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:০৭ পিএম
বিষের বোতল হাতে প্রেমিকের বাড়িরতে হাজির প্রেমিকা। প্রবা ফটো
প্রেমের সম্পর্ক এক বছর। এরই মধ্যে এখানে-সেখানে ঘুরাঘুরি। বিয়ের আশ্বাসে হয় মেলামেশা। অবশেষে প্রেমিকের পিছটান। থানায় গিয়েও লাভ হয়নি। ফলে আদালতের শরনাপন্ন হন মেয়ের বাবা। তাতেও দৃশ্যত কোনো ফল আসেনি।
অবশেষে নিজের সম্মান আর অস্তিত্বের প্রশ্নে বিষের বোতল হাতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে হাজির হয়েছেন প্রেমিকা। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসেন কিশোরীর বাবা। অবশেষে পুলিশের হস্তক্ষেপে আপাত সমাধান হয় বিষয়টি।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের বাউতলা গ্রামে ঘটে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা।
জানা যায়, প্রেমিকা অবস্থান নেওয়ার পর পালিয়ে যান প্রেমিকের বাড়িতে থাকা লোকজন। তবে অন্যান্য স্বজনরা এসে অবস্থানরত প্রেমিকাকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দেয়।
বাউতলা গ্রামের ওই কিশোরী জানায়, প্রতিবেশি রেদুয়ান ইসলাম তানভীর ওরফে রাব্বির সঙ্গে তার এক বছরের প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের আশ্বাস দিয়ে রাব্বি তাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায়। সর্বশেষ তাকে প্রায় এক সপ্তাহ বাইরে রাখেন রাব্বি। ফেরত আসার পর রাব্বির মা ওষুধ খেতে দেয় যেন, পেটে বাচ্চা না আসে। পরে এ নিয়ে এলাকায় বৈঠক করে আমাকে এক লাখ টাকা দিয়ে শেষ করতে বলে। কিন্তু আমি ও আমার পরিবার বিয়ের কথা জানিয়ে দেই। প্রয়োজনে বিয়ের কয়েক বছর পর বাড়িতে উঠবো এটাও জানানো হয়। কিন্তু রাব্বির পরিবার এটা না মানলে আমরা থানায় যাই। পুলিশ মামলা না নিলে গত বছরের ডিসেম্বরে আমার বাবা বাদী হয়ে আদালতে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পিবিআই মামলাটি তদন্ত করছে।
তবে ছেলের মামা ইয়ার মাহমুদ জানান, ছেলে ও মেয়ে তাদের ইচ্ছাতেই বাইরে ঘুরাঘুরি করে। এখানে ধর্ষণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় সবাই মিলে তাদেরকে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ছেলের চাচা মো. আবুল ইসলাম জানান, মেয়েটির অভিযোগ মিথ্যা। সাংবাদিকরা কেন এসব বিষয় জানতে এলেন এ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন জানান, খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। মেয়েটিকে তার বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। যেহেতু ধর্ষণ মামলা হয়েছে সে অনুযায়ি বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।