নাটোরে চোর চক্রের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার

নাটোর সদর উপজেলায় চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপসহ বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চোর চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে নাটোর শহরের বনবেলঘরিয়া বাইপাস এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় চারটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের সাতটি তামার কয়েল, একটি হলুদ রঙের কাটার, একটি প্লাস্টিকের পাইপ (বৈদ্যুতিক ফেজ ফেলার কাজে ব্যবহৃত), দুটি লোহার রড, দড়ি ও তার উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মারুফাত হোসাইন। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেনÑ পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার হায়দারপুর নতুনপাড়ার মৃত বেল্লাল মৃধার ছেলে মাহাতাব মৃধা, মোবারক হোসেন, দক্ষিণ মাসুমপুরের মৃত আকব্বর আলীর ছেলে ও পিকআপচালক লিটন, চাটমোহর উপজেলার খৈরাস দক্ষিণপাড়ার শাজাহান মৃধার ছেলে আলতাব মৃধা, পাবনা সদর উপজেলার কামারগাঁ মালঞ্চী গ্রামের নবাব আলীর ছেলে হেলাল, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার উত্তর চন্দনগাতী গ্রামের আব্দুল হামিদ শেখের ছেলে হাফিজুর রহমান ও গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার মীরেরগাঁও এলাকার চাঁদ মিয়া ব্যাপারীর ছেলে জামির হোসেন।

পুলিশ সুপার মারুফাত হোসাইন বলেন, বড়াইগ্রামে চুরি হওয়া বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের বিষয়ে কাজ করছে পুলিশ। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাটোর শহরের বনবেলঘরিয়া বাইপাস এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় রাজশাহীর দিক থেকে একটি নীল রঙের পিকআপ গাড়িতে সন্দেহজনক বস্তু নিয়ে কয়েক ব্যক্তি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। গাড়িটি থামানোর জন্য পুলিশ সংকেত দিলে গাড়িতে থাকা ব্যক্তিরা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও তিনজন পালিয়ে যান। পরে পিকআপসহ চুরির বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়।