খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৩৯ পিএম
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৫২ পিএম
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার তেবাড়িয়া চৌরঙ্গীতে ঋণের চাপ সইতে না পেরে ফজিলা বেগম নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত গৃহবধূ ফজিলা বেগম উপজেলার ৩নং আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের তেবাড়িয়া ডাঙাপাড়ার মৃত ইকবাল হাসানের স্ত্রী।
ফজিলা বেগম পার্শ্ববর্তী একটি হাসকিং মিলের শ্রমিক ছিলেন। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিহতের নিজ বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।
নিহতের ছেলে রকি ইসলাম ও মেয়ে হাসিনা খাতুনসহ প্রতিবেশীরা জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর নিজেই সংসার পরিচালনা করেন নিহত ফজিলা বেগম। প্রায় দেড় বছর আগে মেয়ের বিয়ে দেন তিনি। ওই মেয়ের বিয়ের যৌতুক ও আনুষঙ্গিক খরচের জন্য অভাবের তাড়নায় স্থানীয় সুদি মহাজনদের কাছে বেশ কিছু টাকা নেন ফজিলা বেগম। পরে এই টাকা পরিশোধের জন্য তিনটি এনজিও থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা ঋণগ্রহণ করেন তিনি। কিন্তু নিজের সীমিত আয় থেকে ভরণপোষণ ও ঋণের কিস্তি পরিশোধ কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। এই অবস্থায় কয়েক সপ্তাহ থেকে কর্মরত বাড়ির পার্শ্ববর্তী হাসকিং মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েন। এতে ঋণের কিস্তি ও সুদের টাকা পরিশোধ করা অসম্ভব হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে ফজিলা বেগমের কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে তার ছেলে ও প্রতিবেশীরা মিলে নিহতের শয়নকক্ষের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজমূল হক বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে ঋণের চাপ সইতে না পেরে ফজিলা বেগম আত্মহত্যা করেছেন। নিহতের কোনো অভিযোগ না থাকায় দাফনকার্য সম্পন্নে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।