× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

শুঁটকি উৎপাদনে সচ্ছল সুনামগঞ্জের হাজারো জেলে

সুনামগঞ্জ প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:১১ পিএম

সুনামগঞ্জে শুঁটকি উৎপাদনে ব্যস্ত জেলেরা। প্রবা ফটো

সুনামগঞ্জে শুঁটকি উৎপাদনে ব্যস্ত জেলেরা। প্রবা ফটো

সনাতন পদ্ধতিতে শুঁটকি উৎপাদন করে পরিবারের সচ্ছলতা এনেছেন হাওর অধ্যুষিত সুনামগঞ্জ জেলার কয়েক হাজার জেলে। জেলার মোট ৯২টি চাঙারিতে শুঁটকি উৎপাদনের সঙ্গে শতাধিক ব্যবসায়ীর পাশাপাশি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত হাজারো মানুষ। এতে যেমন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি উপার্জনের মাধ্যমে তাদের সামাজিক অবস্থান তৈরি হচ্ছে।

উৎপাদিত শুঁটকি সারা দেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। অনেকে দেশের গন্ডি পেরিয়ে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যেও নিয়ে যান হাওর এলাকার এসব শুঁটকি।

চাহিদা বেশি থাকায় এই জেলায় বছরে ১ হাজার টন শুঁটকি উৎপাদন হয়, যার বাজার মূল্য প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। মৎস্য অফিস বলছে, ২ হাজার টন শুঁটকি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছেন তারা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, টাঙ্গুয়ার হাওর, কাঙলার হাওর, মাটিয়ান হাওর ও দেখার হাওরসহ বিভিন্ন হাওর থেকে মাছ সংগ্রহ করেন জেলেরা। এসব মাছ সংগ্রহের পর সনাতন পদ্ধতিতে শুঁটকি করা হয়। মাছ বাচাইয়ের পর কিছু অংশ ফেলে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হয়। পরে চাঙারির উপরে রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। এক সপ্তাহ শুকানোর পর প্রস্তুত হয় শুঁটকি । এর পর সব শুঁটকি এক জায়গায় করেন জেলেরা। পরে সেটি পাটের বস্তায় ভরে বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি করার জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়।

শান্তিগঞ্জ উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের কাইক্কারপাড় গ্রামের বাসিন্দা মো. সুরুজ আলী বলেন, ‘হাওর থেকে মাছ কিনে চাঙারিতে শুকাই। এক সপ্তাহ লাগে শুঁটকি হতে। প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকার শুঁটকি নিয়ে যাই কিশোরগঞ্জ। দাম ভালো হওয়ায় আমরা লাভবান।’

পাশের গ্রাম নোয়াগাঁওয়ের বাসিন্দা মোহাম্মদ মোজাম্মেল বলেন, ‘শুঁটকি তৈরির চাঙারিতে কাজ করে প্রতিমাসে ১৫ হাজার টাকা বেতন পাই। থাকা খাওয়া, জামা-কাপড় চাঙারি মালিকের।’

সুনামগঞ্জ চাঙারি ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি শুঁটকি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ৩৫ বছর ধরে। লাভবান না হলে এতো বছর এই ব্যবসায় থাকতাম না। আমার চাঙারিতে ৬ জন মানুষ কাজ করেন।’

তিনি বলেন, ‘পুরো জেলায় ৯২টি চাঙারি রয়েছে। এসব চাঙারি থেকে শুঁটকি কিশোরগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি হয়। সপ্তাহে প্রায় ৮ কোটি টাকার শুঁটকি বেঁচা হয়।’

শুঁটকি করার পর প্রতিকেজি পুঁটি মাছ ৭০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০, কাইক্কা ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০, চেং ২ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৩০০, চাঁন্দা ৮০০ থেকে ৯০০, গজার ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০, বুজুরি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ এবং টেংরা ১ হাজার টাকা কেজিদরে বিক্রি করতে পারেন ব্যবসায়ীরা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামশুল করিম বলেন, ‘প্রতিবছর ১ হাজার টন উৎপাদন হলেও ২ হাজার টন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছি। হাওরে মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করার চিন্তা রয়েছে। সামনের বছরেই এটি কার্যকর হবে।’

তিনি বলেন, ‘হাওরে বছরে ১২৬ প্রজাতির ৩৮ হাজার টন মাছ উৎপাদন হয়। যার আনুমানিক মূল্য ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। মাছের উৎপাদন বাড়াতে আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছি।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা