সন্তানের আকুতি
চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:৪৭ পিএম
২০১২ সালের ৬ মার্চ বিএনপির ঘোষিত ‘চলো চলো ঢাকা চলো’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে গুম হন চট্টগ্রামের বিএনপি নেতা ও ফটিকছড়ির ১৩ নম্বর লেলাং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এএসএম শহিদুল আলম সিরাজ। তার সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন করেছেন সিরাজ চেয়ারম্যানের সন্তান সাংবাদিক আজীম অননের সহকর্মীরা।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে তারা এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
মানববন্ধনে আজীম অনন বলেন, ২০১২ সালে ৬ মার্চ বিএনপির কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য ঢাকা গিয়েছিলেন আমার বাবা। ঢাকা থেকে তিনি আর ফিরেননি। গত ১৫ বছরে গুম, খুনের শিকার হয়েছেন অনেক বিরোধী মতের মানুষ। যার মধ্যে আমার বাবা সিরাজ চেয়ারম্যানও রয়েছেন। তিনি গুম হওয়ার পর থেকে আমরা প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো সন্ধান পাইনি। ১২ বছর ধরে আমার মা ও ছোট ভাই বাবার অপেক্ষায়। আমরা আয়নাঘর থেকে অনেককে বের হতে দেখছি। কিন্তু স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর প্রায় ৬ মাস পার হয়ে গেলেও বাবার সন্ধান পায়নি। আমি আবার বাবার জীবিত হোক বা মৃত তার শেষ অবস্থানটুকু জানতে চাই। বাবার শেষ চিহ্নটুকু নিয়ে আমার পরিবার সারা জীবন বেঁচে থাকব।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিএমইউজের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য সচিব ও সিডিএ বোর্ড সদস্য জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক (দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) শওকত আজম খাজা, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা প্রমুখ।
মানববন্ধনে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে গিয়ে গুম হয়েছেন সিরাজ চেয়ারম্যান। অনন ছোট ছিল তখন, এখন সে তার বাবার সন্ধানে আবারও মাঠে নেমেছে। অনেকে রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে তারা গুম হয়েছেন। আমরা বিগত দিনেও সোচ্চার ছিলাম, এখনও আছি। ফ্যাসিবাদের রক্তচক্ষুকে আমরা ভয় করিনি। যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে গুম হয়েছেন তাদের সর্বশেষ অবস্থান জানানো দরকার।