কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৫৩ পিএম
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২১:৩২ পিএম
জহিরুল ইসলাম মিরন।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম মিরনকে হত্যার উদ্দশ্যে কুপিয়ে নিজ বাড়ির সামনে ফেলে গেল দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুয়াকাটার তুলাতলী ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় মিরনকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
জহিরুল ইসলাম মিরন বেসরকারি টেলিভিশন বাংলাভিশনের স্থানীয় প্রতিনিধি ও সাবেক কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বিএনপির স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, বর্তমানে কুয়াকাটা পৌর যুবদলের সদস্য সচিব। এ ছাড়া জহিরুল ইসলাম কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরিকুল ইসলাম জানান, সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম মিরন ঢাকা থেকে রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার সময় গাড়ি থেকে নামলে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তার বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। ইতোমধ্যে ফিলিং স্টেশন এবং আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, মিরনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশালে পাঠানো হয়েছে। তার দুই হাত, মাথায় এবং গ্রীবার নিচের অংশে গুরুতর জখম রয়েছে। এ ছাড়া বুকেও ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সাংবাদিক জহিরুলের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গতকাল দুপুরে কুয়াকাটা পৌরসভার চৌরাস্তা এলাকায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
কর্মসূচিতে পটুয়াখালী প্রেস ক্লাব, কলাপাড়া প্রেস ক্লাব, কলাপাড়া রিপোর্টার্স ক্লাব, কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাউফল প্রেস ক্লাব, রাঙ্গাবালী প্রেস ক্লাব, কুয়াকাটা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
তারা জানান, কুয়াকাটায় একের পর এক সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে দক্ষিণ উপকূলের সাংবাদিকতা। অতীতে দেশ রূপান্তরের সাংবাদিক কেএম বাচ্চু, আমাদের সময়ের মাসুদ পারভেজ সাগর ও যুগান্তরের নাসির উদ্দিন বিপ্লবের বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলায় দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবার আরেক সাংবাদিককে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা।