বিএনপি নেতা পিন্টুর মৃত্যু
রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:১৬ পিএম
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৭ পিএম
নিহত বিএনপি নেতা পিন্টুর মৃত্যু।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর মৃত্যুর ঘটনায় রাজশাহীর আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে। এতে আসামি হিসেবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতা, কারাসংশ্লিষ্টসহ মোট ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রয়াত বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন পিন্টুর ভাই নাসিম আহমেদ রিন্টু রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার আবেদন করেন। বাদীর পক্ষে আদালতে মামলা দাখিল করেন বিএনপি নেতা ও অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন। ২০১৫ সালের ৩ মে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় মারা যান পিন্টু।
বাদীপক্ষের আইনজীবীর দেওয়া তথ্যমতে, মামলার আবেদনের পর আদালত বক্তব্য শুনেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আদালত কোনো আদেশ দেননি। আদালত তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পিবিআই বা অন্য কোনো তদন্ত সংস্থার কাছে পাঠাতে পারেন।
মামলার আরজিতে দেওয়া তথ্যমতে, পিন্টুর সাংগঠনিক দক্ষতা ও রাজনৈতিক উত্থানে ঈর্ষন্বিত হয়ে এবং স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্বশূন্য করার উদ্দেশ্যে আসামিরা তাকে হত্যা, হত্যার ষড়যন্ত্র, হত্যায় সহায়তা করেন ও হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দেন।
আসামির তালিকায় শেখ হাসিনা ছাড়াও রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ঢাকার সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আসাদুজ্জামান কামাল, আনিসুল হক ও হাজী মো. সেলিম। এ ছাড়া তৎকালীন আইজিপি, তৎকালীন আইজি প্রিজন, তৎকালীন ঢাকা ও রাজশাহীর ডিআইজি প্রিজন, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের তৎকালীন সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম, জেলার শাহাদত হোসেন, কারা চিকিৎসক আবু সায়েম, কয়েদি রাব্বানী ও বিডিআর বিদ্রোহ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু কাহার আকন্দের নাম রয়েছে তালিকায়।
ছাত্রদলের সভাপতি থাকা অবস্থায় ২০০১ সালের নির্বাচনে ঢাকার লালবাগ-কামরাঙ্গীরচর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নাসির উদ্দিন পিন্টু। পরে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হন তিনি। পিলখানা হত্যা মামলায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। এ ছাড়া একটি অস্ত্র লুটের দায়ে তার ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল। নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল পিন্টুকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। ২০১৫ সালের ৩ মে দুপুরে কারাগার থেকে পিন্টুকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার বাদী রিন্টু বলেন, ‘আমার ভাইয়ের জনপ্রিয়তা ও বিএনপির প্রতি তার অবদানকে ভয় পাচ্ছিল হাসিনা সরকার। তাই তাকে পরিকল্পিতভাবে পিলখানা মামলায় ফাঁসিয়ে সাজা দেওয়া হয়। এরপর তাকে কারাগারে নিয়ে হত্যা করা হয়।’