রামগতি-কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৫৬ পিএম
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:২২ পিএম
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ‘মুজিব কিল্লা’ নামের একটি নবনির্মিত আশ্রয়কেন্দ্রের ওপর নামসর্বস্ব কলেজের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দখলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
সিরাজুল ইসলাম রামগতি উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও চরআলগী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি স্থানীয়ভাবে সিরাজ চেয়ারম্যান নামে পরিচিত।
তার এ কথিত কলেজ প্রতিষ্ঠার নামে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সরকারি ভবনের দখল কাণ্ড নিয়ে এলাকায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের সুফিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সরেজমিন ‘মুজিব কিল্লা’ আশ্রয়কেন্দ্রের মাঠে রামগতি স্ট্যান্ডার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ (প্রস্তাবিত) নামে একটি সাইনবোর্ড দেখা যায়।
স্থানীয়রা জানান, গত বছরের ডিসেম্বরে সিরাজ চেয়ারম্যান তার ছেলে আবু তাহের সজিব, তার মেয়ের জামাই তরিকুল ইসলাম রাকিব ও স্থানীয় সোহেলকে দিয়ে এই সাইনবোর্ডটি স্থাপন করেছেন।
রামগতি উপজেলা পিআইও অফিস সূত্রে জানা যায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণে স্থানীয় সুফিরহাট এলাকায় ‘মুজিব কিল্লা’ নামক আশ্রয়ণের একটি আধুনিক মাল্টিপল ভবন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে কাজটি শুরু হয়ে বিগত দেড় বছরে তিনতলা একটি ভবনের কাজ দৃশ্যমান হয়। ২০২৬ সালে নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে। আশ্রয়ণে দুর্যোগকালীন সময়ে আশপাশের জনসাধারণ তাদের মূল্যবান দ্রব্যসামগ্রীসহ গৃহপালিত প্রাণীদের নিয়ে আশ্রয় নিতে পারবেন। কিন্তু এরই মধ্যে নির্মাণাধীন ভবনের সামনে ‘রামগতি স্ট্যান্ডার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ (প্রস্তাবিত)’ নাম উল্লেখ করে একটি সাইনবোর্ড স্থাপন করেছেন বিএনপি নেতা সিরাজ চেয়ারম্যান।
বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম ‘মুজিব কিল্লা’ প্রস্তাবিত ‘নিস্তার কিল্লা’ নামের আশ্রয়কেন্দ্রে কলেজের নামে সাইনবোর্ড স্থাপনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সাইনবোর্ডটি স্থাপন করা হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একটি আবেদন করা হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, ভবনটি সরকারিভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। এখানে কেউ তার ইচ্ছামতো কোনো ধরনের সাইনবোর্ড লাগাতে পারেন না। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি পদক্ষেপ। ভবনের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে ঠিকাদার এটি উপজেলা প্রশাসনকে বুঝিয়ে দেবে।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকার বলেন, এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।