শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজ
শাহিনুর সুজন, চারঘাট (রাজশাহী)
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:০৮ পিএম
জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান চলছে রাজশাহীর চারঘাটের শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজে। প্রবা ফটো
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নাম জড়িয়ে থাকায় একটি কলেজে গত ১৮ বছরে মেলেনি কোনো সরকারি বরাদ্দ। ২০০৭ সাল থেকে আওয়ামী লীগের শাসনামলে ভবন সংস্কারে বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে চিঠির পর চিঠি দিয়েও মেলেনি সাড়া। সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়েই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম। নামের কারণেই এমন বঞ্চনার শিকার রাজশাহীর চারঘাটের ইউসুফপুরে অবস্থিত শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজ।
সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির চার রুমবিশিষ্ট দোতলা প্রশাসনিক ভবন ও আধাপাকা একাডেমিক ভবনটি জরাজীর্ণ দাঁড়িয়ে আছে। ভবনের টিনের চালা ফুটো হয়ে গেছে, কোনো কোনো শ্রেণিকক্ষের দেয়ালের ইট খসে পড়ছে, মেঝেতে সৃষ্টি হয়েছে একাধিক ছোটবড় গর্তের। অনেক শ্রেণিকক্ষের দেয়ালে ধরেছে ফাটল, জানালার গ্রিল ও কপাট ভাঙা। শ্রেণিকক্ষগুলোতে নেই পর্যাপ্ত বেঞ্চ, বৈদ্যুতিক বাতি ও পাখা।
শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৪ সালে বিএনপি সরকারের শাসনামলে কলেজটি স্থাপিত হয়। ২০০২ সালে কলেজটি এমপিওভুক্ত হয়। ২০০৪ সালে তারেক রহমান কলেজটি পরিদর্শনের পর ২০০৪-২০০৫ অর্থবছরে কলেজে চার কক্ষবিশিষ্ট দোতলা প্রশাসনিক ভবন নির্মিত হয়। এর পর থেকে ওই কলেজে আর কোনো সংস্কার হয়নি। একসময় একাদশ শ্রেণিতে চার শতাধিক শিক্ষার্থী থাকলেও বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা নেমেছে ১৮২ জনে।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. আয়েন উদ্দিন বলেন, কলেজটি জিয়াউর রহমানের নামে থাকায় গত ১৮ বছর ধরে আমরা অবহেলিত। শিক্ষক-কর্মচারীদের মামলা-হামলার ভয় দেখিয়ে কয়েকবার কলেজটির নাম পরিবর্তনের চেষ্টাও করা হয়েছে। নির্দলীয় সরকারের কাছে দাবি দ্রুত ভবন ও আধুনিক সুবিধা নিশ্চিত করে কলেজটির শিক্ষার্থীদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করবেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোহেল হোসেন বলেন, কলেজটি অবহেলিত থাকায় আধুনিক ভবন ও ডিজিটাল ল্যাবসহ যাবতীয় বরাদ্দের তালিকায় চাহিদার প্রথম নামটি ওই কলেজের রাখা হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই সেখানে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে।