নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:৩৬ এএম
আপডেট : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১০:৫৪ এএম
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় জমিসংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সালিশ বৈঠক চলাকালে বিবদমান দুই পক্ষ থানার গোলঘরে ভাঙচুর চালিয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সেনবাগ থানার গোলঘরে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে উভয় পক্ষের ছয়জনকে আটক করে।
জানা গেছে, জমিসংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসা করতে দুই পক্ষ বেছে নিয়েছিল থানাকে। তবে বিরোধ নিষ্পত্তি তো হলোই না, উল্টো বিবদমান দুই পক্ষের মারামারিতে শেষ হয় সালিশ বৈঠক। শুধু তা-ই নয়, বৈঠক চলাকালে দুই পক্ষের লোকজন থানার গোলঘরেও (থানাচত্বরের বৈঠকখানা) ভাঙচুর চালিয়েছে।
সূত্র জানান, বিকাল আনুমানিক ৫টার দিকে সালিশ বৈঠক চলাকালে দুই পক্ষের লোকজন বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে এক পক্ষ অন্য পক্ষের ওপর হামলা চালায়। থানার গোলঘরের কাচ ভাঙচুর করে। তাৎক্ষণিক পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে উভয় পক্ষের ছয়জনকে আটক করে। তাদের থানাহাজতে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, কেশারপাড় ইউনিয়নের উনদনিয়া গ্রামের একটি রাস্তার জায়গা নিয়ে বিবদমান দুই পক্ষকে নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে সেনবাগ থানার গোলঘরে সালিশ বৈঠকে বসেন থানার একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। বৈঠকে উভয় পক্ষের সালিশদাররা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আবদুল্লাহ আল ফারুক থানার গোলঘরের কাচ ভাঙচুর হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাড়ির রাস্তা নিয়ে বিরোধ মীমাংসার জন্য দুই পক্ষকে নিয়ে থানার গোলঘরে সালিশ বৈঠকে বসা হয়েছিল। একপর্যায়ের এক পক্ষ অন্য পক্ষকে ধাক্কা দেয়। এতে কাচঘেরা গোলঘরের কাচ ভেঙে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাজটি ঠিক হয়নি। পুলিশ তাৎক্ষণিক এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ছয়জনকে আটক করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। পরে বিস্তারিত জানিয়ে দেব।’