সাভার প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৫ পিএম
আপডেট : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৪০ পিএম
আশুলিয়ায় পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা দখলকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দুই রাউন্ড গুলি ও চারটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আশুলিয়ার ডিইপিজেড এলাকার পাশে অবস্থিত প্রডেন্ট ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর অস্ত্র উদ্ধার ও জড়িতদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, ইকরামুল ইসলাম (২৮), নূর আলম (২৪), আলম খন্দকার (৩ঌ), পলাশ (৩৩), আবু বক্কর সিদ্দীক (৪৭) , মোক্তার হোসেন (৩৩)।
স্থানীয়রা জানা যায়, দুপুরে হারুন মন্ডল নামের এক ব্যক্তি বিএনপি নেতার পরিচয় দিয়ে লোকজন নিয়ে কারখানার সামনে ঝুট স্থানান্তরের কাজ করতে আসে। এ সময় বিএনপির অপর একটি পক্ষ দেশি বিদেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় দুই রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। এ সময় চারটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি নেতা বলেন, সকাল থেকে ঝুট স্থানান্তরের কাজ করছিলেন বিএনপির নেতা হারুন মন্ডল। দুপুরের দিকে ঢাকা-১৯ আসনের বিএনপির সাবেক সাংসদ ডা সালাউদ্দিন বাবুর অনুসারী আলমগীর, রিয়াদ মোল্লা, আশকর দেওয়ানসহ প্রায় ৪০ জনের অধিক লোকজন নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় তারা দুই রাউন্ড গুলি ও চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
অপর পক্ষের বিএনপি অনুসারী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমাদের নামে কারখানার সাথে চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুসারে আজকে মালামাল অপসারনের কাজ করতে যাই। কিন্ত এর আগে থেকে দেশী ও বিদেশী অস্ত্র নিয়ে আমাদের ধাওয়া দিলে আমরা পালিয়ে যাই। পরে শুনতে পারি আমরা নাকি গুলি ফুটিয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিক বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এরপর অভিযান চালিয়ে বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছি। সন্দেহজনকভাবে ছয়জনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’