বাগেরহাট প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৫৭ পিএম
আপডেট : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:১৬ পিএম
বাগেরহাটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক কেএম সাকিবের ওপর হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার ঘষিয়াখালী-মল্লিকেরবেড় খেয়াঘাটে এই হামলার ঘটনা ঘটে। কেএম সাকিব উপজেলার ঘোষিয়াখালী গ্রামের বিল্লাল খলিফার ছেলে। রাতেই তাকে উদ্ধার করে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসাধীন কেএম সাকিব বলেন, রাতে ঘষিয়াখালী-মল্লিকেরবেড় খেয়াঘাটে ঘষিয়াখালী থেকে মল্লিকেরবেড় এলাকায় যাওয়ার জন্য কিছু লোক যায়। ঘাটের ট্রলার মালিকরা বলেন, জাহিদ ট্রলার চালাতে নিষেধ করছে। তখন বিষয়টি জানতে গেলে, জাহিদের লোকজন ছাত্রদল নেতা শাওন, রনি, সবুজ, তুহিন, মারজান ও মো. রাফি আমার ওপর হামলা করে। তাদের মারধরে মাথা ফেটে গেছে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়েছে হামলাকারীরা। হামলাকারীদের বেশিরভাগের বাড়ি রামপাল উপজেলার মল্লিকেরবেড় এলাকায়।
তিনি আরও বলেন, ঘষিয়াখালী-মল্লিকেরবেড় খেয়াঘাটটি দখল করে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি করছিল আওয়ামী সরকারের প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় স্থানীয় জাহিদুল ইসলাম ও তার লোকজন। সরকার পতনের পর বিএনপি নেতাদের ছত্রছায়ায় আবারও ঘাটে চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এর আগেও আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছিল চাঁদাবাজরা।
অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম বলেন, মল্লিকের বাজারে জাহিদুল ইসলাম নামের এক যুবদল নেতা রয়েছেন, সাকিব তাকে গালিগালাজ করেছেন। এর কারণেই ছাত্রদলের ছেলেরা সাকিবকে দুয়েকটা চড়থাপ্পড় দিয়েছে। যেহেতু যুবদল নেতা এখন ক্ষমতায়, তাই তার নাম না বলে আমার নামে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
মোরেলগঞ্জ থানার ওসি রাকিবুল হাসান বলেন, অভিযুক্তদের আটক করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। তবে অভিযুক্ত বেশিরভাগের বাড়ি রামপাল উপজেলায় হওয়ায় কাজ করতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। আহত সাকিব বা তার পক্ষ থেকে কোনো মামলা বা অভিযোগ দেয়নি।