রাজবাড়ী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:১৯ পিএম
নির্যাতনের শিকার আবজাল খান।
এক কৃষককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আদালত ভবনে চেয়ারের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে রাজবাড়ী আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সুমন হোসেনের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার আবজাল খান (৩০) রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের বাড়াইজুড়ি গ্রামের মৃত আনছের খানের ছেলে। তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রাজবাড়ী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-১-এর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সুমন হোসেনের এজলাসে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত কৃষক আবজাল বলেন, ম্যাজিস্ট্রেটের শ্বশুরবাড়ি আমার এলাকায়। গত শুক্রবার পরিবার নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট তার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে এলাকায় হাঁটার সময় একটি বেওয়ারিশ কুকুর তাদের ধাওয়া করে। ওই কুকুরটি আমার বাড়ির এলাকায় ঘোরাঘুরি করে। এতে তিনি রাজবাড়ী সদর থানার এসআই আসাদকে কুকুর মালিককে ধরে আনতে নির্দেশ দেন। কয়েকদিন ধরেই থানার এসআই আসাদ আমাকে দেখা করতে বলেন। আমি ভয়ে দেখা না দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলাম। পরে স্থানীয় মেম্বারকে দিয়ে এসআই আসাদের সঙ্গে কথা বলি। শনিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মেজভাই আলী খানকে সঙ্গে নিয়ে থানায় আসি। পরে আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সুমন হোসেনের এজলাসে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর কুকুরটি আমার নয় বলে জানাই এবং ক্ষমা চাই। তারপরও কোনো কথা না শুনে আমার দুই হাত চেয়ারের সঙ্গে পিঠমোড়া করে বেঁধে কাঠের রুল দিয়ে নিতম্ব ও পিঠে অন্তত ৩০টি বাড়ি মারা হয়। এ সময় তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, ওই কুকুর যদি এলাকায় দেখা যায় এবং এ বিষয়ে কাউকে বলি তবে মামলা দিয়ে জেলের ভাত খাওয়াবেন। পরে আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেই। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে রাত ৮টার দিকে রাজবাড়ী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
তবে রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোবাইল ফোনে অভিযোগপ্রাপ্তির কথা অস্বীকার করেন। রাত পৌনে ৯টার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সুমন হোসেনকে ফোন দিলে তিনি তা রিসিভ করেননি।