ভৈরব
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:১৬ পিএম
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:১৬ পিএম
নিহত সুমন মিয়া।
লিবিয়া হয়ে ইতালি যেতে ভূমধ্যসাগরে যাত্রাপথে নৌকায় ভৈরবের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি পৌর শহরের জগন্নাথপুর লক্ষ্মীপুরের মাহমুদ হোসেনের ছেলে সুমন মিয়া (৪৫)। লিবিয়ায় থাকা আত্মীয়ের মাধ্যমে সুমনের মৃত্যুর খবর পায় তার পরিবার।
জানা যায়, চার মাস আগে ইতালি যেতে স্থানীয় এক দালালের মাধ্যমে লিবিয়ায় পাড়ি জমান সুমন মিয়া। সুমনের ভগ্নিপতি মনিরুল এবং রুমান মিয়া নামের এক প্রতিবেশীও রয়েছেন লিবিয়ায়। ২৪ জানুয়ারি ২৫ জন যাত্রী নিয়ে লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে একটি বোট রওনা দেয় ইতালির উদ্দেশে। মাল্টা পৌঁছে বোটে সমস্যা দেখা দিলে সবাই নেমে গেলেও সুমনকে মৃত অবস্থায় পান সঙ্গে থাকা অন্য যাত্রীরা। চার দিন পর স্বজনরা জানতে পারে সুমনের মৃত্যুর খবর।
স্থানীয়রা জানায়, লক্ষ্মীপুর এলাকার ২৫-৩০ জন যুবক লিবিয়ায় রয়েছেন। কেউ ১ বছর কেউ ৬ মাস ধরে সেখানে পড়ে আছেন। ৮ লাখ টাকায় দালালদের সঙ্গে চুক্তি হলেও কেউ ১৫ লাখ, কেউ ২০ লাখ টাকা দিয়েও ইতালি যেতে পারছেন না। ভুক্তভোগীদের পরিবারগুলো দালালদের নাম প্রকাশে ভয় পাচ্ছে। স্বজনদের দাবিÑ ইতালি নিতে না পারলেও যেন তাদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে না দিয়ে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
সুমন মিয়ার স্ত্রী পলি বেগম বলেন, ‘শম্ভুপুর শান্তিপাড়া এলাকার সুইটি নামের দালালের মাধ্যমে আমার স্বামী লিবিয়া যায়। ২৩ জানুয়ারি তার সাথে আমার শেষ কথা হয়। সে বলেছিল ইতালি পৌঁছে ফোন দেবে। ২৯ জানুয়ারি রাতে তার মৃত্যুর খবর পাই। আমার স্বামীর মরদেহ দেশে আনা ছাড়া আমার কিছু চাওয়া নাই। আমার শিশুসন্তানরা যেন শেষবারের মতো তাদের বাবার মুখখানি দেখতে পায়।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শবনম শারমিন বলেন, ‘মৃত্যুর বিষয়টি আমি অবগত নয়। তবে যারা অবৈধ পথে গিয়ে মৃত্যুবরণ করে, তাদের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে সহযোগিতা করে থাকে প্রশাসন। দালালদের শাস্তির আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে অবগত করা হয়।’ মরদেহ ফিরে পেতে নিহতের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।