মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা
টাঙ্গাইল প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২২:০২ পিএম
নিহত ফারুক আহমেদ।
টাঙ্গাইলের বহুল আলোচিত খান পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। প্রায় চার দশক ধরে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় হত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, অস্ত্রবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের কারণে বারবার সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন এ পরিবারের সদস্যরা।
এজন্য বিভিন্ন সময় মামলা হয়েছে। কিন্তু কখনও বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি তাদের। তবে রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) প্রথমবারের মতো খান পরিবারের চার প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে কোনো মামলার রায় হতে যাচ্ছে। এ নিয়ে টাঙ্গাইলে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা।
আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার রায় হবে রবিবার। বহুল আলোচিত এই মামলায় আসামি খান পরিবারের চার সদস্য টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা। এই চার ভাই ছাড়াও মামলায় আরও ১২ জন আসামি রয়েছে। তাদের মধ্যে বিচার চলাকালে আনিছুর রহমান রাজা ও মোহাম্মদ সমির কারাগারে মারা গেছেন।
গত ২৬ জানুয়ারি ফারুক হত্যা মামলার বাদী ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে শেষ হয়। বিচারক মো. মাহমুদুল হাসান আজ রায় ঘোষণা করবেন।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। তার স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ২০১৪ সালের আগস্টে গ্রেপ্তার আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলীর জবানবন্দিতে ওই চার ভাইয়ের নাম আসে। এরপর চার ভাই আত্মগোপনে চলে যান। পরে রানা আদালতে আত্মসমর্পণ করে তিন বছর হাজতে থাকার পর জামিন পান। গত বছরের ৫ আগস্টের পর রানা আবার আত্মগোপনে চলে যান। বাকিরা ২০১৪ সাল থেকে বিদেশে অবস্থান করছেন বলে তাদের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন। গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মাহফীজুর রহমান ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ওই চার ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বিচারকাজ শুরু হয়।