কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:৪১ পিএম
ইয়াঙ্গুন থেকে পণ্য নিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরের উদ্দেশে আসা চারটি কার্গো জাহাজ নাফ নদে তল্লাশির নামে জিন্মি করেছিল মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। এগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় দফায় ৩টি ছেড়ে দিলেও একটি আটকা ছিল। আর সেই জাহাজটি শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ছেড়ে দিয়েছে, যা দুপুর ১টার দিকে টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছে বলে জানিয়েছেন, টেকনাফ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্টের ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, এর আগে ৩টি পণ্যবাহী কার্গো জাহাজ আরাকান আর্মির হেফাজত থেকে মুক্তি পেয়েছিল। ওই জাহাজ ৩টি মালামাল খালাস করে ইয়াঙ্গুনে ফিরে গেছে। ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি দুটি করে মোট চারটি কার্গো মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে নাফ নদের মোহনায় তল্লাশির নামে জিম্মি করে রাখে। এসব কার্গোতে ৫০ হাজার বস্তা শুঁটকি, সুপারি, কফিসহ বিভিন্ন মালামাল ছিল। এর মধ্য গত ১৯ ও ২০ জানুয়ারি তিনটি বোট ছেড়ে দিয়েছিল আরাকান আর্মি। সেখানে দুটো কার্গোতে ২৭ হাজার ৭২২ বস্তা মালামাল ছিল। এর আগেরটাতে ১ হাজার সিএফটি কাঠ ছিল।
স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেড় মাস পর ১৬ জানুয়ারি শনিবার ইয়াঙ্গুন থেকে কয়েকজন ব্যবসায়ীর পণ্যবাহী কার্গো জাহাজ টেকনাফ স্থলবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়। নাফ নদের মোহনায় সেদেশের জলসীমানার নাক্ষ্যংকদিয়া এলাকায় তল্লাশির নামে পণ্যবাহী ৪টি জাহাজ আটকে দিয়েছিল আরাকান আর্মি। এর মধ্যে আচার, শুঁটকি, সুপারি, কফিসহ ৫০ হাজারের বেশি বস্তা পণ্য রয়েছে। এসব পণ্য স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী শওকত আলী, ওমর ফারুক, মো. আয়াছ, এমএ হাসেম, মো. ওমর ওয়াহিদ, আবদুর শুক্কুর সাদ্দামসহ অনেকের। সর্বশেষ সোমবার সকালে সাতুরু এবং এমবি হারিকিউ লেছ নামে দুটি পণ্যবাহী জাহাজ ফেরত এলেও একটি কার্গো জাহাজ আরাকান আর্মির হেফাজতে ছিল। সেটিও শনিবার ছেড়ে দিয়েছে। এই জাহাজে ৩০ হাজারের বেশি বস্তা মালামাল রয়েছে।
টেকনাফ স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, ১৬ দিন পর আটকে থাকা পণ্যবাহী জাহাজটি ছেড়ে দিয়েছে আরাকান আর্মি। জাহাজটি ঘাটে পৌঁছেছে। ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।