পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫৭ পিএম
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৯:১৮ পিএম
কক্সবাজারের লবণ, পান, মৎস্য ও পর্যটন শিল্প রক্ষায় কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ সকল অপরিকল্পিত ও দূষণ সৃষ্টিকারী শিল্পায়ন বন্ধের দাবিতে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক নাগরিক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)’র উদ্যোগে কক্সবাজারের পেকুয়া কবির আহমেদ বাজার ওয়াপদা চত্বরে এই জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল হাশেমের সভাপতিত্বে এবং পরিবেশকর্মী দেলওয়ার হোসাইন ও জালাল উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন ধরা’র কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব শরীফ জামিল। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ধরা-কক্সবাজারের আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ফজলুল কাদের চৌধুরী, সদস্য সচিব সাংবাদিক ফরিদুল আলম শাহীন, চুনতি রক্ষায় আমরা-এর আহ্বায়ক সানজিদা রহমান, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিজুল হক।
জনসভায় বক্তব্য দেন- চট্রগ্রাম ইয়ুথ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আজাদ, সমাজকর্মী এম আজম উদ্দিন, যুবনেতা ইয়াছিন আরাফাত, আইনজীবী সহকারী নেতা আতাউল ইসলাম, শ্রমিক নেতা হারুন অর রশিদ, ওসমান গণী, জামাল উদ্দিন, লবণচাষি হাবিবুল হক, আবদুল হালিম, লবণচাষি শফিউল আলম, মাওলানা রুহুল কাদের, নাজেম উদ্দিন প্রমুখ।
প্রধান অতিথি শরীফ জামিল বলেন, কক্সবাজার জেলার মানুষের জীবন-মান উন্নয়নে সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে, বিশেষ করে এ অঞ্চলের লবণচাষিদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কক্সবাজার ও আশপাশের লবণ ও লবণচাষিদের বাঁচাতে কয়লা কারখানাসহ পরিবেশ দূষণকারী শিল্পকারখানা বন্ধ করুন। লবণ শিল্পজাত পণ্য নয়, অবিলম্বে একে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করুন।
চুনতি রক্ষায় আমরা আন্দোলনের আহ্বায়ক সানজিদা রহমান বলেন, পর্যটন রক্ষার নামে শত শত পাহাড়ের বুক চিড়ে ৭ লাখ গাছ কেটে যে উন্নয়নের নামে রেললাইন করা হয়েছে তা আমাদের এখন গলার কাঁটা। তারা রেললাইন দিয়ে আমাদের বণ্য প্রাণী ধ্বংস ও সাধারণ মানুষকে বন্যার পানিতে ভাসিয়ে মারার মারণফাঁদ তৈরি করছে, আমরা এমন উন্নয়ন চাই না, যে উন্নয়নে আমাদের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষা পায় তেমন উন্নয়ন চাই।
উজানটিয়া ইউনিয়নের লবণচাষিদের প্রতিনিধি আজম উদ্দীন বলেন, আমার ইউনিয়নে অধিকাংশ মানুষ লবণচাষি। তাদের অধিকার বলতে কিছু নাই, তারা আজ দিশাহারা। তাদের পক্ষে কথা বলার কোনো মানুষ নেই।
ইয়ুথ অ্যাকশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান সাংবাদিক মুসলিম আজাদ বলেন, লবণচাষিরা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাদের সন্তানরা আজ শিক্ষা বঞ্চিত, নানা রোগে ভুগলেও যথাযথ চিকিৎসা করাতে তারা ব্যর্থ। সরকারের কাছে তাদের ন্যায্য এবং মৌলিক দাবি লবণের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করে সকল লবণচাষিকে সরকারিভাবে তালিকাভুক্ত করে প্রণোদনার আওতায় নিয়ে আসা হোক।
জনসমাবেশে স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিক, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী-মাতারবাড়ী ও বাঁশখালী এলাকার স্থানীয় ভুক্তভোগী জনগণ অংশগ্রহণ করে।