পাবনা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৮:১২ পিএম
পাবনায় সদরের মালিগাছায় মাসিক ২০ হাজার টাকা চাঁদা না পেয়ে বাস পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মালিগাছা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রানু বিশ্বাস ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ইউনিয়নের শংকরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তামিম ট্রাভেলস নামের ওই বাসটি পাবনা-ঈশ্বরদী রুটে চলাচল করত। মাঝেমধ্যে ঈশ্বরদী ইপিজেডের শ্রমিকও এই পরিবহনে যাতায়াত করেন।
বাসের মালিক এনামুল হক শংকরপুর গ্রামের নায়েব আলী প্রামাণিকের ছেলে। অভিযুক্ত রানু বিশ্বাস রুপুপর গ্রামের রশিদ বিশ্বাসের ছেলে। তার সহযোগী ঘরনাগড়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে লিটন হোসেন। সেও যুবদলের সদস্য বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে তামিম ট্রাভেলসের মালিক এনামুল হকের কাছে যুবদল নেতা রানু বিশ্বাস মাসিক ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বাস চলাচল বন্ধ ও পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
শনিবার ভোরে তিনটি মোটরসাইকেলযোগে কয়েকজন এসে শংকরপুর গ্রামে দাঁড়িয়ে রাখা বাসে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে। এ সময় প্রতিবেশী জাবুল প্রামাণিক, শাহীন প্রামাণিক বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয়দের ডাকাডাকি করলে তারা আগুন নেভাতে এগিয়ে আসে। এ ঘটনায় আনুমানিক ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
বাস মালিক এনামুল হক বলেন, দুইদিন আগে রানু বিশ্বাস এসে আমার থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি তাকে বলি যে কিসের জন্য চাঁদা দিতে হবে। সে আমাকে বলে চাঁদা না দিলে বাস চলতে দেওয়া হবে না। পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়া হবে। প্রতি মাসের শুরুতে চাঁদা দিতে হবে। গত রাতে রানু বিশ্বাসের নেতৃত্বে আমার বাসটিকে পুড়ানো হয়েছে। এ ঘটনায় আমি একদম নিঃস্ব হয়ে গেলাম। থানায় মামলা দায়ের করা হবে। যারা এ কাজ করেছে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মালিগাছা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রানু বিশ্বাসের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোন রিসিভ করেননি।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) সঞ্জয় কুমার বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কে বা কারা আগুন ধরিয়েছে, এখনও আমরা ওভাবে নাম পাইনি। সে লিখিত অভিযোগ দিতে থানায় আসতেছে। তখন হয়ত নাম পাওয়া যাবে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।