ইন্দুরকানী
ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৪৯ পিএম
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৫৫ পিএম
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে কয়েক মাস ধরে বৃদ্ধি পেয়েছে চুরির ঘটনা। গেল দু-সপ্তাহের মধ্যে উপজেলার তিনটি গ্রামে তিন কৃষকের গোয়ালঘর থেকে ১১টি গরু চুরি হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় দিনই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে হাঁস-মুরগি, ছাগল চুরি হচ্ছে।
বাদ যাচ্ছে না দোকান ও প্রতিষ্ঠানে চুরি-ডাকাতি। বাড়িসহ সড়কের পাশে থাকা সরকারি গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চোরচক্র বিভিন্ন বাড়িতে হানা দেওয়ায় অনেকেই নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে। বিশেষ করে, নদী তীরবর্তী এবং বিভিন্ন সড়কের পাশে যাদের বাড়িঘর, তারা চুরিআতঙ্কে রয়েছে।
এসব চুরির ঘটনায় পুলিশ রয়েছে নীরব দর্শকের ভূমিকায়। তবে পুলিশের দাবি চুরির ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ নিরলসভাবে চেষ্টা করছে। বিভিন্ন হাটবাজারের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এজন্য রাতে সন্দেহজনক লোকজনদের চলাফেরার ওপর কড়া নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ। ফুটেজ দেখে চোর শনাক্ত করে তাদের শাস্তির আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
জানা যায়, গত ২৯ জানুয়ারি রাতে পাড়েরহাট ইউনিয়নের উমেদপুর গ্রামের শাহিন হাওলাদারের বাড়ি থেকে দুর্বৃত্তরা ৫টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। একই দিন বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ইন্দুরকানী গ্রামের সওজ সড়কের পাশে মাহমুদুল হাসান নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বাসায় দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। চোররা দরজার সিটকানি ভেঙে বাসায় ঢুকে তিন ভরি স্বর্ণালংকারসহ নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
এ ছাড়া গত ১৩ জানুয়ারি রাতে উপজেলার চন্ডিপুর এলাকার দিনমজুর আব্দুল রহিম শেখের ৪টি ও পূর্ব চরবলেশ্বর গ্রামের দরিদ্র কৃষক রুহুল আমিন শেখের ২টি গরু চুরি হয়ে যায়। এ ছাড়া গত ১৪ জানুয়ারি রাতে পূর্ব চরবলেশ্বর গ্রামের রেহিম গাজীর বাড়ির সামনের সড়কের পাশে গাছের গুঁড়ি ও কাঠ চোরেরা রাতের আঁধারে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি ভবানীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে, একটি মাদ্রাসা ও একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা ঘটে। ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, রিকশা, ভ্যান চুরি হচ্ছে হরহামেশাই। ২ মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চোরের উপদ্রব এতটা বেড়েছে যে এলাকার মানুষের ঘুম হারাম করে দিয়েছে। এ ব্যাপারে ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) মারুফ হোসেন বলেন, বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজগুলো সংগ্রহ করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চোরদের ধরতে থানা পুলিশের চেষ্টায় ঘাটতি নেই।