হাঁস নিয়ে দ্বন্দ্ব
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:০৯ পিএম
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:৫৩ পিএম
১৮ বছর আগের হাঁস-মুরগি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শ্যামল চন্দ্র দাস নামের এক প্রভাষকের ওপর হামলা এবং গভীর রাতে তার বসতঘরের পাশে খড়ের গাদায় আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে ও রাতে উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক নিলীমা জ্যাকব কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক। তিনি গ্রামের বাসিন্ধা সুদর্ণ চন্দ্র দাসের ছেলে। এ ঘটনায় নিজের ও পরিবারের নিরাপত্ত চেয়ে গতকাল শুক্রবার চরফ্যাশন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছনে শ্যামল চন্দ্র দাস।
হামলা ও নিগ্রহের শিকার শিক্ষক বলেন, ২০০৭ সালের দিকে প্রতিবেশী বিএনপিকর্মী আকতার হোসেন পরিবারের সঙ্গে হাঁস-মুরগি ফলস নষ্ট করেছে, এ নিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। দীর্ঘ ১৮ বছর পর আকতার ও তার পরিবার ওই দ্বন্দ্বকে মনের কোণে পুশে রেখেছিলেন। ফলে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আকতার তাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন।
বৃহস্পতিবার তিনি কলেজে যাওয়ার পথে বিএনপি নেতা আকতার দলবল নিয়ে তার ওপর আতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করেন। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার ওপর হামলার ঘটনায় তিনি চরফ্যাশন থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে ক্ষিপ্ত হন বিএনপি নেতাসহ তার দলবল।
শ্যামল চন্দ্র দাস আরও বলেন, তার পরিবারে আতঙ্ক ছড়াতে গভীর রাতে বসতঘরের পাশে খড়ের খাদায় আগুন দেওয়া হয়েছে। এতে তারা আতঙ্কিত হয়ে ডাকচিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
এ বিষয়ে বিএনপিকর্মী আকতার হোসেন বলেন, ওই পরিবারে সঙ্গে আমার বিরোধ আছে। এ নিয়ে তর্ক হয়েছে। খড়ের গাদায় কে বা কারা আগুন দিয়েছে, তা আমার জনা নেই। চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন, কলেজ শিক্ষকের ওপর হামলা ও খড়ের গাদায় আগুন দেওয়ার ঘটনায় একটি জিডি নেওয়া হয়েছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।