মুন্সীগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৫২ পিএম
আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ২১:০৫ পিএম
চাঁদপুর-মুন্সীগঞ্জ সীমান্তের মোহনপুর এলাকায় বালু উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মেঘনা নদীতে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে দুজন নিহত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরদিন শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে মুন্সীগঞ্জের মেঘনায় বালু উত্তোলন নিয়ে ফের গোলাগুলিতে পিংকি আক্তার নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী আহত হয়েছেন। পরে তাকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নিহতরা হলেনÑ চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা গ্রামের রিফাত (২৫) ও মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ভাসানচর গ্রামের আলম ফকিরের ছেলে রাসেল ফকির (২৯)। গত বৃহস্পতিবার রাতে আহত হয় কয়েকজন। তাদের উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালসহ ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতদের বরাতে পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেঘনা নদীর চাঁদপুরের মোহনপুর এলাকায় স্পিডবোটে ছিলেন রাসেল, রিফাত, আইয়ুব আলীসহ কয়েকজন। সাড়ে ৭টার দিকে হঠাৎ কয়েকটি স্পিডবোট তাদের স্পিডবোটের সামনে আসে। তাৎক্ষণিক রাসেলদের স্পিডবোটকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ওই দুর্বৃত্তরা। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই তিনজনকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, নদীতে বালু উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। গুলিবিদ্ধ আহতদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে আহত নারীর স্বজনরা জানায়, আগের দিনের ঘটনার জের ধরে গতকাল শুক্রবার সকালে কিবরিয়া গ্ৰুপের পক্ষের রাজু সরকারের বাড়িতে হামলা চালায় কানা জহিরের ভাই শাহিন বেপারি ও তার লোকজন। এ সময় গুলিতে আহত হন পিংকি আক্তার। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শৈবাল বসাক বলেন, ‘পিংকির ডান পাশে কোমরের নিচে গুলি ঢুকে অপর পাশ দিয়ে বের হয়ে গেছে। ফলে এখন তিনি আশঙ্কামুক্ত।’
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. সাইফুল আলম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে গোলাগুলিতে দুজনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় চাঁদপুরের মোহনপুর থানায় মামলা হবে। আর শুক্রবার অন্তঃসত্ত্বা নারীর আহতের ঘটনাটি মুন্সীগঞ্জের এলাকায় ঘটে। তাই এ মামলা হবে মুন্সীগঞ্জ থানায়। মামলা হলে ঘটনাটি তদন্ত করা হবে।’