× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ডোমরাবাদ-জলিশা সেতু

ভেঙে পড়ার পাঁচ বছরেও সংস্কার নেই

সাইদুল ইসলাম মন্টু, বেতাগী (বরগুনা)

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ০০:৪৬ এএম

আপডেট : ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ০০:৪৭ এএম

ভেঙে পড়ার পাঁচ বছরেও সংস্কার করা হয়নি বেড়েরধন নদীর ওপর নির্মিত ডোমরাবাদ-জলিশা সংযোগ সেতু। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। বুধবার বরগুনার বেতাগী উপজেলার জলিশা এলাকায়। প্রবা ফটো

ভেঙে পড়ার পাঁচ বছরেও সংস্কার করা হয়নি বেড়েরধন নদীর ওপর নির্মিত ডোমরাবাদ-জলিশা সংযোগ সেতু। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। বুধবার বরগুনার বেতাগী উপজেলার জলিশা এলাকায়। প্রবা ফটো

বরগুনার বেতাগী ও পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জের বেড়েরধন নদীর ওপর ডোমরাবাদ-জলিশা সংযোগ সেতুটি ভেঙে পড়ার পাঁচ বছরেও সংস্কার করা হয়নি। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই উপজেলার মানুষকে। সেতুটি দ্রুত সংস্কারের দাবি তাদের।

জানা গেছে, ২০০৬ সালের ৭ এপ্রিল ডোমরাবাদ-জলিশা সংযোগ সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। সেতুটির পশ্চিম তীরে পাশের বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার জলিশা এবং পূর্ব তীরে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা। গত ১৪ বছর ধরে লোহার সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ, জলিশা এবং ওপারে ডোমরাবাদ, উত্তর আমড়াগাছিয়া ও মধ্য আমড়াগাছি এলাকার অন্তত দুই হাজার মানুষ যাতায়াত করে আসছিল। কিন্তু ২০২০ সালের ২১ জানুয়ারি রাতে একটি মালবোঝাই ট্রলারের ধাক্কায় সেতুটি ভেঙে পড়ে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ভেঙে পড়ার পর থেকে যাতায়াতে দুই উপজেলার মানুষ গত চার বছর ধরে চরম ভোগান্তির শিকার। বিশেষ করে এতে নদী পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও কৃষকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে। এ ছাড়া জরুরি রোগী থাকলে অবস্থা চরম আকার ধারণ করে। অনেক পথ ঘুরিয়ে হাসপাতালে আনা-নেওয়া করতে হয়। বিকল্প ব্যবস্থার অভাবে পথচারীদের চার-পাঁচ কিলোমিটার পথ ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় অভাবে ভেঙে পড়েছে এখানকার যোগাযোগব্যবস্থা।

গত বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, বেড়েরধন নদীর পূর্ব ও পশ্চিম তীরের সেতুর ভাঙা অংশ এখনও নদীতে পড়ে আছে। ফলে সেতু ভেঙে যাওয়ার পর থেকে এ পথে যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, নদীর ওপর সেতু না থাকায় দুই উপজেলার যোগাযোগ, শিক্ষার্থীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকেই যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানায়, প্রত্যন্ত গ্রামের গুরুতর অসুস্থ কিংবা মুমূর্ষু কোনো রোগীকে জরুরিভাবে হাসপাতালে নিতে গেলে আট থেকে ১০ কিলোমিটার পথ বেশি ঘুরে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে হচ্ছে। এই পথ ঘুরে অনেক সময় রোগী হাসপাতালে পৌঁছতে পৌঁছতে আরও চরম অবস্থার মুখে পড়ে। অথচ সেতুটি চলাচলের উপযোগী হলে অনেক সহজেই এবং দ্রুত রোগী নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছা সম্ভব হয়।

বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ গ্রামের কৃষক আলী হোসেন বলেন, ‘সুবীদখালী বাজার এখান থেকে কাছাকাছি হওয়ার পরও যোগাযোগব্যবস্থার অভাবে আমাদের উৎপাদিত ধান, সবজি ও অন্যান্য ফসল সময়মতো বাজারে নিতে পারছি না। ফলে ন্যায্যমূল্য থেকে আমরা বঞ্চিত হচ্ছি।’

সেতু সংলগ্ন ডোকলাখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফিরোজ আলম বলেন, ‘ভাঙা সেতুর কারণে বিদ্যালয়ে দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ওই পারের অনেক শিক্ষার্থী আসা-যাওয়া করতে পারছে না। প্রথম দিকে শিক্ষার্থীরা খেয়া নৌকায় নদী পারাপার হলেও ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তারা নিয়মিত স্কুলে আসে না।’

উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আলতাফ হোসেন ফরাজী বলেন, ‘২০২০ সালে একটি মালবোঝাই ট্রলারের ধাক্কায় সেতুটির পশ্চিম অংশ দুমড়েমুচড়ে নদীতে পড়ে যায়। সেই থেকে সেতুটি ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও অদ্যাবধি এটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।’

জানতে চাইলে বেতাগী উপজেলার প্রকৌশলী শেখ তৌফিক আজীজ বলেন, ‘সেতুটি দুই উপজেলার সীমানায় হলেও যেহেতু এর আগে মির্জাগঞ্জ প্রকৌশল বিভাগ সেতুটি নির্মাণ করে। ফলে এটি এখন নির্মাণ করতে হলে মির্জাগঞ্জ প্রকৌশল বিভাগকেই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় নিয়ে মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করতে হবে। তবে তারা কোনো সহযোগিতা চাইলে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করব।’

এ ব্যাপারে মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘ইতোমধ্যে উপজেলার ডোমরাবাদ এলাকায় ভেঙে যাওয়া সেতুর স্থানে নতুন সেতু নির্মাণ করতে মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করার চেষ্টা করছি। প্রক্রিয়া শেষ হলেই ওই স্থানে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা