ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:২১ পিএম
আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:৩৮ পিএম
পাবনার ঈশ্বরদী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম শহিদের অপসারণের দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ইব্রাহিম হোসেনের ওপর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে না পারায় তিন দিনের আল্টিমেটাম শেষে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে থানা ঘেরাও করে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে থানার মূল ফটকের সামনে কয়েকশ শিক্ষার্থী অব্স্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তারা ঈশ্বরদী-বানেশ্বর মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন টানা তিন ঘণ্টা ধরে। এ সময় পৌর শহরের রেলগেট থেকে আলহাজ্ব মোড় দুই কিলোমিটার পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তানজিদুর দিহান ও মাহিম মেহরাজের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা পুলিশের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কযেকবার হামলার ঘটনায় হওয়া মামলার আসামি গ্রেপ্তারে ওসির বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ তোলেন। ওসির অপসারণের আদেশ না আসা পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
ছাত্ররা বিক্ষোভে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে আমাদের ছাত্রদের ওপর কয়েক দফায় হামলা হলো। মামলা হওয়ার পরও কোনো আসামি গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। বর্তমানে থানার ওসির ভূমিকা নিয়ে আমাদের নিরাপত্তার প্রশ্ন উঠছে। আমরা থানার ওসির অপসারণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হব।
একপর্যায়ে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘সম্প্রতি যে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে ছাত্র সমন্বয়ক ইব্রাহিমের হামলার ঘটনাটি সবচেয়ে বেশি দুঃখজনক। আমরা হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে ডিবি ও র্যাব সমন্বয় করে কাজ করছি। ইতোমধ্যে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের আটজনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। আশা করছি, একটা কাঙ্ক্ষিত ফল আমরা দিতে পারব।’ পরে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।