সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৭:৪২ পিএম
আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:১৩ পিএম
বক্তব্য রাখছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু। প্রবা ফটো
ডিএনএ ও রক্ত পরীক্ষা করে আওয়ামী লীগের লোকদের চাকরি দেওয়া হতো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের
নারানদিয়া জয়নদ্দীন মাতুব্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার
বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শামা ওবায়েদ বলেন, ‘কর্মসংস্থান
থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা জায়গায় স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দলীয়করণ করেছেন। সব জায়গায় তার
দলীয় ও পরিবারের লোকদের ঢুকিয়ে রেখে গেছেন। ডিএনএ ও রক্ত পরীক্ষা করে আওয়ামী লীগের
লোকদের চাকরি দেওয়া হতো। এই জন্যই আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নেমেছিল।
আর হাসিনার নির্দেশে সেই আন্দোলনে বহু ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।’
সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ রিংকু বলেন, ‘গত ১৫ বছর
দেশে একটি স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায় ছিল। তারা শিক্ষা ব্যবস্থাকে করে দিয়ে গেছে। এই
১৫ বছরে ছাত্রলীগের তাণ্ডবের কারণে হাজার প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়ে গেছে। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী
ডা. দিপু মনি হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন।’
শামা ওবায়েদ আরও বলেন, ‘একজন মুক্তিযোদ্ধার
সন্তান হিসেবে আমার ভাবতে কষ্ট হয়, যে আমার দেশের ছেলে-মেয়েদের বই তৈরি হয় অন্য দেশে।
কারণ তখন নতজানু স্বৈরাচারী সরকার ক্ষমতায় ছিল। তারা দেশের ছেলে-মেয়েদের গর্বের সাথে
মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেয়নি। শুধু তাই নয়, সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে শিক্ষক, সাংবাদিক,
ডাক্তার ও রাজনীতিবিদসহ সবাইকে হাসিনার রোষানলে পড়তে হয়েছে। কেউ মুখ খুলতে পারে নাই।
কথা বললে, খুন, গুম ও নির্যাতন করা হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের
পতন হয়েছে। এখন নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে। আর নতুন বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের ভাই-বোনদের
সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। যদি শিক্ষিত করতে হয়, তাহলে দলমতের উর্ধ্বে থেকে ছেলে-মেয়েদেরকে
শিক্ষকদের ভাল শিক্ষা দিতে হবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নুরুল ইসলাম বাবু। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য
রাখেন, সালথা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান তালুকদার, নগরকান্দা উপজেলা
বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি হাবিবুর রহমান বাবুল, সালথা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান
মো. আসাদ মাতুব্বর, সালথা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক খন্দকার খায়রুল বাসার
আজাদ, বিএনপি নেতা মো. জাহিদ হোসেন প্রমুখ।