রাজবাড়ী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৫৪ পিএম
রাজবাড়ীর পাংশায় বালু ব্যবসা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে কৌশলে ডেকে নিয়ে শাফিন খান ওরফে শাফি হত্যার দায়ে দুজনের ফাঁসি ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভিন এ রায় প্রদান করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেনÑ কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া বারইপাড়ার আরিফ মোল্লা ওরফে আরিফুজ্জামান আরিফ (পলাতক), মধ্য আমবাড়িয়ার রুহুল আমিন প্রামাণিক।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেনÑ রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সেনগ্রামের সামাদ মন্ডল, ওয়াহেদ আলী প্রামাণিক, পাবনা সদরের কণ্ঠগজরার (চর) রশিদ কাজী, কুষ্টিয়ার খোকসার আমবাড়িয়া বাড়ইপাড়ার রাজিব মোল্লা, সবুজ মোল্লা, সাগর মোল্লা। তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার খোকসা থানার আমবাড়িয়া গ্রামের আবু বক্কার খানের ছেলে শাফিন খান ওরফে শাফি দীর্ঘ ১৮ বছর সৌদি আরব ছিলেন। দেশে ফিরে মাটি ও বালুর ব্যবসা শুরু করেন। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকাল ৫টার দিকে তাকে ডেকে নিয়ে যায় আসামিরা। ১৭ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টার দিকে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার চরঝিকড়ী গ্রামের মফিজ উদ্দিন মন্ডলের আখক্ষেত থেকে তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. ফরিদ হাসান খান পাংশা থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত করে ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।
রাজবাড়ী জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বালুর ব্যবসা নিয়ে বিরোধে মেয়ে দেখানোর কথা বলে ডেকে এনে শাফিন খান ওরফে শাফিকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে আসামিরা। রায়ে দুজনের ফাঁসি ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।