কক্সবাজার অফিস ও বান্দরবান প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৪:৫২ পিএম
আপডেট : ২৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৩৮ পিএম
নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে দুইটি স্থলমাইন বিস্ফোরণ। প্রবা ফটো
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে তিনটি স্থলমাইন বিস্ফোরণে তিন জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার ফুলতলী সীমান্তের ৪৭, ৪৮ ও ৪৯ নম্বর পিলার এলাকায় পৃথক সময়ে বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আহতরা হলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের আশারতলী এলাকার মো. হোসেনের ছেলে আলি হোসেন (৩৬) ও লেমুতলী নামক এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দা জাফর আলমের ছেলে আরিফ উল্লাহ (৩২) ও দোছড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড লেম্বুছড়ির বাসিন্দা মুজিবুর রহমানের ছেলে রাশেদুল ইসলাম রাসেল (২৫)।
ইউএনও মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী জানান, সকাল থেকে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে মাইন বিস্ফোরণে তিনজন আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য শামসুল আলম জানান, বিস্ফোরণে আহত তিনজনেই মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে গরু আনতে গিয়েছিল। সেখানে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন। প্রথমে সকাল ৬ টা, ১০টা ও সাড়ে ১০টা ভিন্ন সময়ে ভিন্ন জায়গায় মাইন বিস্ফোরণের আহত হন। প্রথমে আলী হোসেন আহত হন, পরে সকাল ১০ টার দিকে আরেকটি মাইন বিস্ফোরণে আরিফ উল্লাহ ও সাড়ে ১০টার সময় রাসেল মাইন বিস্ফোরণে আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মো. মাসরুরুল হক স্থানীয়দের বরাতে বলেন, ‘সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের আশারতলী সীমান্তের ৪৭, ৪৮ ও ৪৯ নম্বর পিলার সংলগ্ন এলাকায় মিয়ানমার অভ্যন্তরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে গরু আনতে গেলে মাটিতে পুঁতে রাখা মাইন আকস্মিক বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন আহত হন।
এ ব্যাপারে কথা বলতে বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ককে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি কোনো ধরনের সাড়া দেননি।