× ই-পেপার প্রচ্ছদ সর্বশেষ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি শিক্ষা ধর্ম ফিচার ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

নাব্যতা সংকট

ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি বন্ধ

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:০৭ পিএম

আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:২১ পিএম

চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি বন্ধ। প্রবা ফটো

চিলমারী-রৌমারী নৌপথে ফেরি বন্ধ। প্রবা ফটো

ব্রহ্মপুত্র নদে নাব্যতা সংকটের কারণে কুড়িগ্রামের চিলমারী-রৌমারী নৌপথে এক মাস ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে, অবনতি হচ্ছে এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুকনো মৌসুম হওয়ায় চিলমারী-রৌমারী নৌপথে নদের নাব্যতা সংকটে প্রায় এক মাস ধরে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর ফলে বিপাকে পড়েছে এ ফেরি ব্যবহারকারী যাত্রীরা। থমকে আছে কৃষিপণ্য পরিবহন। এতে ওই এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যে অবনতি হচ্ছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ফেরি নৌপথ সচল রাখতে ড্রেজিং কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এটি বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে স্যালো ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে নদী পারাপার হতে হয়। বিআইডব্লিউটিএ-এর ড্রেজিংকৃত পলি নদীতে ফেলার কারণে পলিবালু ভাটি এলাকায় জমা হয়ে আবারও ডুবোচরের সৃষ্টি করে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী খলিল উদ্দিন বলেন, ‘ফেরি বন্ধ থাকায় এ পথে মাল বোঝাই ট্রাকসহ যাত্রীরা সহজে পারাপার হতে পারছে না।’

ব্যবসায়ী আবু জিয়াদ আজাদ বিল্পব বলেন, ‘এ সমস্যার কারণে ফেরি ঘাট এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা মন্দায় পড়েছেন।’

চিলমারী প্রেস ক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম সাবু বলেন, ‘নদীতে নাব্যতা না থাকায় ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যাবার পরও প্রায় ১০-১২ দিন পাথরবাহী অর্ধশত ট্রাক চিলমারী বন্দরে অপেক্ষা করেছিল। এর পর অন্য পথ  দিয়ে গন্তব্যে যেতে বাধ্য হয়েছে। দীর্ঘদিন এভাবে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত, তেমনি যাত্রীরাও নানা ভোগান্তিতে আছেন।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) মেরিন অফিসার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্র নদের পানি প্রতিদিনই এক থেকে দেড় ফুট কমছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার পানি হ্রাসের পরিমাণ বেশি। এতে নাব্যতা সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ফেরি চলাচলের জন্য ৬-৭ ফুট পানির গভীরতা প্রয়োজন হয়। কিন্তু এ নৌপথে পানির গভীরতা রয়েছে ৪-৫ ফুট। ফলে প্রায়ই ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিআইডব্লিউটিএ-এর প্রধান কার্যালয়ের টেকনিক্যাল টিম এসে অতিরিক্ত পলি জমার কারণে ড্রেজিং কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।’

চিলমারী-রৌমারী ফেরি প্রধানত জামালপুর, ময়মনসিংহ ও রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের উত্তরের জেলাগুলোর সহজ যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : মোরছালীন বাবলা

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা