মধ্যাঞ্চলীয় ব্যুরো
প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২২ ১৯:০৭ পিএম
আপডেট : ৩০ নভেম্বর ২০২২ ১৯:১৯ পিএম
বাজিতপুর উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরিত্যক্ত ভবন।
একযুগেরও বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস ভবনটি এখন মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ১ দশমিক ৩২ একর জায়গার ওপর নির্মাণ করা ভবনটি কর্তৃপক্ষের অযত্ন-অবহেলায় দীর্ঘ সময় এভাবেই পড়ে রয়েছে।
সেখানে কোনো কর্মকাণ্ড না থাকায় ঝুঁকিতে পড়েছে হাওর ও উপজেলার দুর্যোগ অবহিতকরণ, বন্যা ও সেচ প্রকল্পের কার্যক্রম। একই সঙ্গে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার সম্পদ।
অবশ্য দ্রুত একটি ভবনের সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী না থাকায় অফিসটি মাদক সেবনের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। দিন-রাত সেখানে মাদকাসক্তদের আড্ডাসহ মাদক চোরকারবার হয় সেখান থেকেই।
এমন অবস্থায় স্থানীয়রা ভবনটি সংস্কার কিংবা সেখানে যাতায়াত প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অনেকটা ভুতুড়ে পরিবেশ সেখানে। দরজা-জানালাবিহীন দুটি পুরোনো ভবন। অযত্ন-অবহেলায় পড়ে রয়েছে একটি স্পিডবোট। ভবনের পাশে পুকুর কচুরিপানা আর ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। জীর্ণ ভবনকে ঘিরে রেখেছে আগাছা ও লতাপাতা। অনেকে জানেন না এটি কীসের অফিস। এখানকার কর্মকর্তারা এখন জেলা শহরে অফিস করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা বাজিতপুর ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আকম গোলাম মোস্তফা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের অবহেলায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অফিসটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বাজিতপুরে অফিস বন্ধ থাকায় কৃষকেরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী রকিবুল আলম রাজিব বলেন, ‘আমি ছয় বছর ধরে বাজিতপুর উপজেলার দায়িত্বে আছি। কত বছর ধরে এই অফিস পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে তার সঠিক সময়-কাল আমিও জানি না।’
বাজিতপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করেছেন। তাদের প্রত্যাশা, খুব দ্রুত একটি ভবনের সংস্কার কাজ শুরু হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান বলেন, ‘বাজিতপুরের সার্বিক বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত অফিসটি চালু করা হবে।’